বিশ্বনাথে একটি পরিবারকে জিম্মি, একজন কে উদ্ধারঃ যেকোন সময় অঘটন

জাতীয় বিশ্বনাথ সিলেট
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশে আইন আছে, প্রয়োগ নেই। এমন সুযোগে প্রভাবশালী দুষ্টচক্রের কবলে একটি অসহায় গরীব পরিবার জিম্মি হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনে অভিযোগ দিয়েও ন্যায় বিচার পাচ্ছে না। বরং পাল্টা অভিযোগে দিনের পর দিন জেল হাজতে থাকতে হচ্ছে। ধনে জনে বলিয়ান, এই দুষ্ট চক্রটি গরীব এই পরিবারকে দীর্ঘদিন থেকে গ্রাম থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছে। নিজের পূর্ব পুরুষের জায়গা-জমি রাস্তা ও একটি মাজার এবং মাজার সংলগ্ন ভূমি রক্ষা করতে গিয়ে বার বার হয়রানীর শিকার হচ্ছে এই পরিবারটি। ঘটনাটি ঘটেছে বিশ্বনাথ উপজেলার পিঠাকরা গ্রামে। এ গ্রামের কতিপয় প্রভাবশালী লোক গত কয়েকদিন ধরে জিম্মি করে রেখে প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়ে মাজারের বাউন্ডারীর দেওয়াল ভাঙচুর করে গ্রামে ত্রাস সৃষ্টি করে এবং আলকাছ আলীর পরিবারকে ঘেরাও করে রেখেছিল। গত ১১ মার্চ শনিবার আলকাছ আলীর ভাই বিশ^নাথ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে একজন দারোগা প্রতিপক্ষের বাড়ীতে গিয়ে ফিরে আসেন। দারোগা আসার পরও প্রতিপরে লোকজন অস্ত্র সন্ত্র নিয়ে আলকাছ আলী পরিবারকে ঘেরাও করে রাখে। এসময় প্রাণ ভয়ে আলকাছ আলী নারী-পুরুষ নিয়ে দরজা- জানালা বদ্ধ করে বসে থাকেন। বিষয়টি স্থানীয় একজন জানার পর অফিসার্স ইনচার্জকে অবহিত করলে পুঃরায় ঔ দারোগা পিঠাকরা গ্রামে গিয়ে আলকাছ আলী কে উদ্ধার করে দেন। এসময় বাড়ী গেইট, দেয়াল ও দরজা জানালা ভাঙচুর করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করা হয়।
আলকাছ আলী এই প্রতিনিধিকে টেলিফোনে জানান, আমি প্রাণভয়ে জগন্নাথপুর এলাকায় পালিয়ে আসলেও বাড়ী ঘরে আমাদের মহিলাদেরকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমি ও আমার ভাই বাড়ীতে যেতে পারছি না। যেকোন সময় সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে খুন করতে পারে। প্রতিপক্ষের সাথে কি নিয়ে বিরোধ এমন প্রশ্নের জবাবে আলকাছ আলী বলেন, আমাদের বাড়ীর রাস্তা ও পূর্বপুরুষের নামে রেকর্ডীয় জায়গা জমি রক্ষণাবেক্ষণ করতে চাইলে আসামীরা অস্ত্রের ভয়ে তাড়িয়ে দিতে চায়। তারা আমাদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। মহিলাদের সাথে অশালিন আচরন করছে। আমরা গরীব লোক হওয়ায় কোথাও বিচার পাচ্ছি না।
বিশ^নাথ থানার এসআই জয়ন্ত জানান, এখানে মুলবিরোধ ভূমি নিয়ে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, তবে এখনও রেকর্ড করা হয়নি।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *