নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের বিশ্বনাথে ইটভাটা কিশোর শ্রমিক আমিন আহমদ সিয়াম (১৭) হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে থানা পুলিশ। রোববার দুপুরে থানা কম্পাউন্ডে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ওসমানীনগরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফফুজ্জামান পিপিএম (সেবা) ২৪ঘন্টার ভেতরে এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছেন দাবি করে বলেন, এ ঘটনায় আলামতসহ প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছেন। এই খুনি আরকুম আলী (৪০) উপজেলার রামপামা ইউনিয়নের উত্তর আজিজনগর (কান্দি) গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে।
শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় তার বিাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর আসামী পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেছে, আমিন আহমদ সিয়ামকে বলাৎকার পর ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার ভয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। এছাড়াও আসামীর স্বীকারোক্তিতে ঘটনাস্থল থেকে নিহত সিয়ামের ব্যবহৃত টাওয়াল, প্যান্ট, শার্ট, জুতা ও ব্যাল্ট উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার তাকে সিলেট আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানান।
প্রসঙ্গ, ২০ডিসেম্বর বুধবার সিয়াম নিখোঁজ হয়। পরদিন তার বাবা থানায় সাধারণ (ডায়েরী নং-৯২১) করেন। ২৩ডিসেম্বর শনিবার ইটভাটার পূর্বে রামপাশা ইউনিয়নের ধুপড়িখাল বিলের একটি ঝুপ থেকে সিয়ামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সিয়ামের বাবা ইটভাটা শ্রমিক সরদার আকবর আলী বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা করেন, (মামলা নং-০৮/১৭৫)। তবে বাদির অভিযোগ ছিল, ইটভাটার মেশিন মেকার চান্দ আলী তার ছেলেকে হত্যা করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেশিন মেকারসহ দু’জনকে আটকও করেছিল পুলিশ। আটককৃত অপরজন ট্রাকটর চালক রবিউল ইসলাম (৪৮)। ঘটনার সাথে জড়িত না থাকায় তাদেরকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।