স্টাফ রির্পোটার: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় ব্যাপক অবকাঠামোগত কর্মযজ্ঞ চলছে। সরকারি বেসরকারী ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে দীর্ঘ কয়েক যুগের তুলনায় চলতি বছর অনেক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে। বিশেষ করে গৃহনির্মাণ কাজ প্রতিটি গ্রামে দেখা যাচ্ছে। ২০২০সালের ৮ মার্চ থেকে বাংলাদেশে মহামারী করোনার আতংক সৃষ্টি হওয়ায় সম্পুর্ণরূপে কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। গত নভেম্বর মাস থেকে সরকারি ভাবে বন্ধ হওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে এবং ব্যক্তিগত ভাবে মানুষ বাড়ীঘর নির্মাণ করছেন। এতে নিমার্ণ সামগ্রী রড, সিমেন্ট, বালু, পাথরের দাম এখন অগ্নিমুল্য। কোন কোন স্থানে বালু পাথরও খোজে পাওয়া যাচ্ছে না। সিলেট অঞ্চলের বালু পাথর ব্যবসার সাথে জড়িত একটি দুষ্টচক্র অন্যান্য বছরের তুলনায় বর্তমান বছরে বালু পাথরের দাম ফুট প্রতি অনেক বৃদ্ধি করা হয়েছে। জাফলং, বিছনাকান্দি মাটিযুক্ত পাথরের ফুট ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা এবং যান্ত্রিকভাবে পরিস্কার করা (ভাইবেটার) পাথর ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা ফুট বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন হাট বাজারে সিমেন্টের প্রতি ব্যাগের দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি রডে কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে সারা দেশে সরকারি বেসরকারী এবং ব্যক্তিগত ভাবে গত কয়েক যুগের সমান কাজ হচ্ছে চলতি বছর। ফলে রড, সিমেন্ট, তার , কয়েল উৎপাদনের চেয়ে চাহিদা বেশি থাকায় মুল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। নিমার্ণ সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারন হচ্ছে, গ্রাম অঞ্চলের মধ্যম আয়ের লোকজনও দালান ঘর তৈরী করছেন। বাশ, বেত ও কাঠের অভাব থাকায় এখন সকলই ইট, বালু, পাথর দিয়ে দালান ঘর নির্মাণে খুব বেশি আগ্রহী। একদিকে বাঁশ, সুপারী গাছ এবং অন্যান্য সাধারণ গাছের কাঠের মূল্য গড়ে ইট, পাথরের কাছাকাছি থাকায় পাকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে বেশি। এতে যেমন গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তেমনি পাকা দালান বাড়ী-ঘর বা রাস্তা ঘাটের কারনে উষ্ণতাও বেশি বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকাও রয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার নির্মাণ কাজের ঠিকাদার আব্দুল খালিক জানিয়েছে, প্রতি বছর বিল্ডিংয়ের কাজের জন্য ঘুরে ঘুরে একটি কাজও পাওয়া যেত না। কিন্তু গত কয়েক মাসে কাজ বৃদ্ধি পাওয়ায় দিবানিশি পরিশ্রম করতে হচ্ছে। এতে নির্মাণ শ্রমিকের সংকট থাকায় অগ্রীম টাকা পরিশোধ করেও সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নির্মাণ শ্রমিক সংগ্রহ করা যাচেছ না।
বিশ্বনাথ নতুন বাজারের রড সিমেন্টের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাবুল মিয়া রড সিমেন্টের মূল্য বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে বলেন, দেশে অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছর উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় নির্মাণ সামগ্রীর কিছুটা মুল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।