স্টাফ রিপোটার : সিলেটের বিশ্বনাথে পুকুর থেকে হাত-পা বাঁধা অর্ধগলিত উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত নারীর (৩০) হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার লামাকাজি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-উপজেলার কাজিরগাঁও গ্রামের জসিম মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া, তবলপুর গ্রামের ফজর আলীর ছেলে মুক্তার মিয়া ও কাবিলপুর গ্রামের আসাদ মিয়ার ছেলে তাজুল মিয়া। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
অজ্ঞাত নারী হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তারে সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার ওসি (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তি বলেন, সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ, গত বছরের ১৫ নভেম্বর অজ্ঞাত নারীর লাশ উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের আবদুল গফুরের বাড়ির পুকুর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে থানা পুলিশ। লাশটি উদ্ধারের একদিন পর সিলেট মানিক পীর টিলায় দাফন করা হয়। এঘটনায় বিশ্বনাথ থানার এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গত ১৫ নভেম্বর রাতে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বিশ্বনাথ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অজ্ঞাত ওই নারী লাশের পরনে ছিল সবুজ রংয়ের কামিজ। লাশের হাত ও পা দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। ওই নারীকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ধারনা করা হয়েছিল। লাশটি পুকুরের পানিতে থাকায় অর্ধগলিত ছিল।