বিশ্বনাথে বোমা হামলার ঘটনা : পুলিশ বলছে আসামি গ্রেফতার করা হবে

অপরাধ বিশ্বনাথ
শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোটার : বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের পিটাকরা গ্রামের মৃত সিকান্দর আলীর পুত্র আলকাছ আলীর বাড়িতে বোমা হামলার ঘটনায় আলকাছ আলী নিজে বাদি হয়ে ৭ জনকে বিবাদী করে থানায় একটি এজহার দালিখ করেছেন। এজহার দায়েরের পর ২দিন ও ঘটনা ঘটার ৫দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

মামলার আসামিরা হচ্ছেন, পিটাকরা গ্রামের ইসলাম উদ্দিন, আক্তার হোসেন, তারভীর হোসেন, মাহমদ আলী, দুদু মিয়া, জামাল আহমদ ও কামাল আহমদসহ আরও ৪/৫জন।

এদিকে বোমা হামলার ঘটনার একটি ভিডিও আমাদের অনলাইন পোটালে ভাইরাল হওয়ায় পুলিশের টনক নড়েছে।

ঘটনার দিন ৩মার্চ দিবাগত রাত অনুমান ১২টা সাড়ে ১২টার সময় হঠাৎ আলকাছ আলীর ঘরের দরজার সামনে (বাইরে) বিকট শব্দে একটি বোমা বিস্ফোরিত হয় এবং সাথে সাথে আরো একটি বোমা বিস্ফোরিত হলে ঘরের চাল উড়ে যায়। এসময় আলকাছ আলীর পরিবার বাচাও বাচাও করে চিৎকার করলে আতংকিত গ্রামের শতাধিক লোক জড়ো হয়ে বিস্ফোরিত বোমা দেখেন এবং গ্রামবাসিরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

পরদিন সকালে আসামি আখতার, দুদু ও ইসলাম উদ্দিন আলকাছ আলীর মেয়ের রেকর্ডকৃত ভিডিও আনার জন্য দা, ডেগার ও কুড়াল নিয়ে আলকাছ আলীর ঘরে ঢুকে মেয়ে সুজনা বেগমের কাছ থেকে মোবালইটি কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে এবং পরিবারের সকল মহিলাকে মারপিট করে জখম করে।

এজহারে আরো বলা হয়, গত ১৫জানুয়ারি রাত ১১টায় আসামি ইসলাম উদ্দিন, আক্তার হোসেন, তারভীর হোসেন, মাহমদ আলী, দুদু মিয়া, জামাল আহমদ ও কামাল আহমদ গং গ্রামের আরো ৪/৫জন অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসি নিয়ে আলকাছের বাড়ি ঘেরাও করে ১২টি ককটেল একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটায়। এভাবে এই নিরিহ পরিবারটিকে গ্রাম থেকে বিতাড়নের জন্য প্রতিনিয়ত অত্যাচার নির্যাতন করা হচ্ছে। আলকাছ আলীর নিরিহ স্কুল কলেজ পড়ুয়া ৩টি মেয়ে ও একটি প্রতিবন্ধী মেয়েসহ ৪টি মেয়ের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি হচ্ছে। তারা পিতাকে চাপ দিচ্ছে, প্রাণ রক্ষার জন্য গ্রাম ছেড়ে যেন অন্যত্র চলে যায়।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বলেন,  আসামি গ্রেফতার করা হবে। অথচ এজহার দায়ের কালীন সময়েও ঘটনা সত্য নয় বলে পুলিশ বাদিকে আকার ইঙ্গিতে বোঝাচ্ছিল।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *