নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় ৮ জন ফুটবল খেলোয়াড়কে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধের পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এমন কথা উল্লেখ করে যৌথ বিবরিতি দিয়েছেন উপজেলা ফুটবল এসোসিয়েশন ও উপজেলা খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি।
মঙ্গলবার (২সেপ্টেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে দ্রুত এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ আন্তঃউপজেলা ফুটবল টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্বনাথ বনাম দক্ষিণ সুরমা ম্যাচে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। এরই জেরে জেলা রেফারি এসোসিয়েশন অভিভাবকতুল্য ভূমিকা না নিয়ে বরং বিশ্বনাথ দলের ৮ জন তরুণ খেলোয়াড়কে ৪ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সংগঠনের নেতারা এটিকে ‘অযৌক্তিক ও কঠোর’ সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে ফুটবল বিশ্বনাথের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। সিলেটের ফুটবলের আঁতুড়ঘর হিসেবে বিশ্বনাথ উপজেলার রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের নানা প্রতিযোগিতায় বিশ্বনাথের দল চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ হয়েছে বহুবার। এ উপজেলা থেকে জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড়ও উঠে এসেছে। এমন বাস্তবতায় হঠাৎ করে খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করা শুধু অন্যায় নয়, বরং তাদের ক্যারিয়ার ধ্বংসের শামিল।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ফুটবল তরুণদের মাদক ও সামাজিক অনাচার থেকে দূরে রাখে। অথচ অকারণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মাঠে রেফারির সঙ্গে যেসব আচরণ হয়েছে তার নিন্দা জানালেও তারা মনে করেন, ম্যাচের ভেতরের ঘটনা মাঠেই ক্ষমা প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সমাধান হয়েছে। এরপরও প্রকৃত দোষীদের শাস্তি হতে পারে, তবে ঢালাওভাবে আটজন খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ করার মধ্যে ষড়যন্ত্রের আভাস রয়েছে।
অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা ও মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়ে বিবৃতিদাতারা জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ পরিচালনা পর্ষদ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রতি পুরো ম্যাচ পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানান।
যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বিশ্বনাথ উপজেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান জুয়েল ও বিশ্বনাথ উপজেলা খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি লোকমান মিয়া।