ডাক ডেক্স: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ‘বাড়ল্লার বিল’ নিয়ে দু’পক্ষে মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ। এনিয়ে গত ৪/৫ দিন ধরে করপাড়া গ্রামের তফির মিয়ার পুত্র দেলোয়ার হোসেন ও একই গ্রামের মৃত তোফাজ্জুল আলীর পুত্র ইটভাটা মালিক সোহেল মিয়ার মধ্যে এ উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিল উদ্ধারের জন্য আজ রোববার রাতে করপাড়া গ্রামের হাজী তফির মিয়ার বাড়িতে জরুরী বৈঠক করেছেন গ্রামের লোকজন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ফজলুর রহমান, ফিরোজ আলী, মোশাহিদ আলী, সায়েখ আলী, আব্দুল গণি, আব্দুল ওয়াদুদ ও বাতিকুল ইসলাম’সহ প্রায় শতাধিক লোকজন।
বৈঠকে তারা অভিযোগ করে বলেন, বাড়ল্লার বিলটি দেলোয়ার হোসেন ও তাদের পূর্ব পুরুষদের নামে রয়েছে। এই বিলে সোহেল মিয়ারও একটি অংশ রয়েছেন। কিন্তু ৪/৫দিন ধরে সোহেল মিয়া গ্রামের লোকজনদেরকে না বলে জোর পূর্বকভাবে প্রভাব খাটিয়ে পুরো বিল মেশিন দিয়ে পানি সেচের চেষ্টা করছেন। পানি শুকিয়ে গেলে ওই বিল থেকে তিনি তার ইটভাটায় মাটি নিবেন বলেও তারা জানান। ইতোমধ্যে সোহেল মিয়াকে একাধিকবার তারা বৈঠকের জন্য ডাকলেও তিনি গ্রামবাসীর ডাকে সাড়া না দিয়ে বিল সেচের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় আশপাশের প্রায় শতাধিক কৃষক এবছর বোরো ধান চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত থাকতে হবে। এঘটনায় শান্তি সৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিলে ১৪৪ ধারা জারির জন্য গ্রামবাসীর পক্ষে গত ৫ ডিসেম্বর সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি আবেদন করেছেন দেলোয়ার হোসেন। আজ রোববার এই আদেশ বিশ্বনাথ থানায় এসেছে বলে থানার ওসি শামীম মূসা জানিয়েছেন। তিনি তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন। এছাড়াও ২০১১ সালেও সোহেল মিয়া মৌরশী সত্তের একটি পতিত ভূমি দখলের পায়তারা করেন। তখন ওই সত্তের মালিকরা পতিত ভূমিকে ধানি জমিতে পরিণত করেছেন। তাই বর্তমানে গরুর খাদ্যের জন্য তারা চরম বিপাকে পড়েছেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত সোহেল মিয়া বলেন, গ্রামের লোকজন তাকে বিলের দায়িত্ব দিয়েছেন। তাই তিনি বিলের পানি সেচ করছেন।