ডাক ডেস্ক : দেন মোহর হিসেবে নগদ অর্থ বা গহনা নয়, পরিবেশের উপকারী বন্ধু গাছ নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন নাটোরের মেয়ে সুকৃতি আদিত্য। বিয়েতে দেনমোহর হিসেবে স্বামী নাবিনের কাছ থেকে নিয়েছেন মাত্র ৩০১ টাকা মূল্যের ৫টি চারাগাছ।
এমন ব্যতিক্রমী দেনমোহরের কারণে হয়েছেন আলোচিত। সুকৃতি-নাবিন দম্পতি বিয়ের দিন গাছ লাগিয়ে বলেছেন, দেনমোহর নিয়ে যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে, তা দূর করে ভালোবাসাটাকে প্রাধান্য দিতেই গাছ নিয়ে তাদের এমন আয়োজন। ব্যতিক্রমী এই আয়োজনে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকাজুড়ে। ঘটনাটি শুক্রবারের হলেও মঙ্গলবার সুকৃতির বাবা বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরায় বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে।
জানা যায়, নাটোর শহরের দিঘাপতিয়া উত্তরা গণভবনের পাশে কনে সুকৃতি আদিত্য ও বর নাবিন আদনান গাছের চারা রোপণ করে তা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। পূর্বপরিচয় থাকলেও দুই পরিবারের সম্মতিতে ঘরোয়া পরিবেশেই বিয়ে সম্পন্ন হয় সুকৃতি-নাবিনের। আর বিয়ের অন্যতম আকর্ষণ ছিল দেনমোহর হিসাবে পরিবেশবান্ধব গাছ। দেনমোহর হিসাবে বরের কাছ থেকে ৫টি ফলদ ও বনজ গাছ নেন কনে সুকৃতি। কনে সুকৃতি ও তার মা-বাবার গাছ এবং পরিবেশের প্রতি রয়েছে অগাধ ভালোবাসা। সেই ভালোবাসা থেকে পরিকল্পনা অনুযায়ী সুকৃতি তার বিয়ের মোহরানা হিসাবে বেছে নেন গাছ।
পারিবারিকভাবে ধুমধাম করেই তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের আসরেই মোহরানা হিসাবে ৫টি ফলদ ও বনজ গাছ হস্তান্তর করে বরপক্ষ। টাকার অঙ্কের হিসাবে না মিলিয়ে সুকৃতির এমন চিন্তাচেতনায় আনন্দিত সবাই।
নাটোরের বাসিন্দা লিটন-সুস্মিতা দম্পতির একমাত্র কন্যা সুকৃতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রাচ্যকলা বিভাগ থেকে মাস্টার্স এবং কুমিল্লার বাসিন্দা নাবিন একই অনুষদের অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন।