বিনা খরচে যাওয়া যাচ্ছে ইউরোপের দেশ জার্মানিতে

আন্তর্জাতিক জাতীয় সারাদেশ
শেয়ার করুন

ডাক ডেস্ক : জার্মানি অনেকের কাছে স্বপ্নের দেশ। ইউরোপের অন্যতম প্রভাবশালী ধনী দেশ এটি। সেখানে পাড়ি দেওয়ার জন্য চেষ্টার কমতি থাকে না তৃতীয় বিশ্বের মানুষের।

এবার তাদের জন্য আরও একটি সুখবর দিল জার্মান সরকার। বিভিন্ন খাতে শ্রমিক হিসেবে বড় ধরনের নিয়োগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। বিনা খরচে অন্তত ২৬ হাজার লোক নেবে তারা।

সরকারি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে দেশটির সরকার, শিক্ষকতা, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, নির্মাণ, প্রযুক্তিসহ নানা খাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দক্ষ কর্মী নেবে। ইংরেজি ভাষা দক্ষতার মান বিবেচনায় আইইএলটিএস ছাড়াই খাতগুলোয় আবেদন করার সুযোগ পাবেন আগ্রহীরা।

সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগ্রহী প্রার্থীদের জার্মানি সরকারের ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘ওয়ার্কিং ইন জার্মানি’ অপশনে ক্লিকের পর ‘প্রফেশনস ইন ডিমান্ড, জব লিস্টিং’ ক্যাটাগরিতে পছন্দসই চাকরির বিজ্ঞপ্তি খুঁজে নিতে হবে।

তালিকায় প্রদর্শিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কোনো ফি ছাড়াই আবেদন করা যাবে। ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন খাতে একাধিক পদে ২৬ হাজার ২১১ জন কর্মী নেবে দেশটির সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষকতা, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক খাত, কৃষি, নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে কর্মী নেবে।

ইউরোপের এই দেশটিতে সামাজিক খাত, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষকতা খাতে ৬ হাজার ৯ জন, নির্মাণ খাতে ২ হাজার ৪৯৯ জন, ট্রাফিক লজিস্টিকস, সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি খাতে ১ হাজার ৫১৪ জন, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, আইন ও প্রশাসন খাতে তারা নিয়োগ দেবে ২ হাজার ৩৯১ জন।

দেশটির নাগরিকত্ব পেতে এখন থেকে আর ৮ বছর নয়, মাত্র ৫ বছর বসবাস করলেই দেওয়া হবে জার্মানির নাগরিকত্ব।

জার্মানিতে নাগরিকত্ব লাভ ও দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে সংসদে একটি বিল উত্থাপন করে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের মধ্য-বামপন্থী জোট সরকার। বিলটি সংসদে উঠলে তা ৩৮২-২৩৪ ভোটে পাস হয়।

নতুন আইন অনুযায়ী, যেকোনো ব্যক্তি জার্মানিতে পাঁচ বছর বসবাস করলে তাকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এত দিন আট বছর থাকার পরই নাগরিকত্ব মিলত।

তবে বিশেষ ক্ষেত্রে তিন বছর বসবাস করলেই নাগরিত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়া জার্মানিতে জন্ম নেওয়া কোনো শিশুর পিতামাতার একজন যদি পাঁচ বছর সে দেশে বৈধভাবে বসবাস করেন, তাহলে সে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব লাভ করবে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *