ফ্লয়েডকে নির্যাতনের ভিডিও করা কিশোর পেল পুলিৎজার

আন্তর্জাতিক জাতীয়
শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রে গত বছর শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পুরো দেশ। যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশেও বিক্ষোভ হয়। নিজের মুঠোফোনে পুলিশি নির্যাতনের ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন পথচারী কিশোর ডারনেলা ফ্রেজার। এই কাজের জন্য বিশেষ ক্যাটাগরিতে তাকে এবার পুলিৎজার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার পুলিৎজার পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে করোনা মহামারি এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক ফ্লয়েড হত্যার পর দেশটিতে বর্ণবাদ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশের স্বীকৃতি হিসেবে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এবার পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ সংবাদ প্রকাশের জন্য জনসেবা ক্যাটাগরির পুরস্কার পেয়েছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।

গত বছরের ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে জর্জ ফ্লয়েডকে আটক করতে গিয়ে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাউভিন হাঁটু দিয়ে তাঁর ঘাড় চেপে ধরেন। এতে দম বন্ধ হয়ে মারা যান ফ্লয়েড। ফ্লয়েড হত্যার ঘটনার প্রথম সংবাদ প্রকাশ করে মিনিয়াপোলিসের দ্য স্টার ট্রিবিউন। এই জন্য ব্রেকিং নিউজ ক্যাটাগরিতে সংবাদমাধ্যমটি এবার পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছে।

ফ্লয়েড হত্যার ঘটনার জেরে পুলিশ বাহিনীর নানা নিপীড়ন ও বর্ণবাদী আচরণ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হতে থাকে। নির্দোষ সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে পুলিশের কুকুর ব্যবহার করা নিয়ে যৌথ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য দ্য মার্শাল প্রজেক্ট, আল ডটকম, ইনডিস্টার ও ইনভিজিবল ইনস্টিটিউট ন্যাশনাল রিপোর্ট ক্যাটাগরিতে পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছে।

আঞ্চলিক প্রতিবেদনের ক্যাটাগরিতে পুলিৎজার জিতেছে দ্য টাম্পা বে টাইমস। ফ্লোরিডার পাসকো কাউন্টিতে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে স্থানীয় ব্যক্তিদের পুলিশের ভয় দেখানো এবং হয়রানির ঘটনা প্রকাশ করায় এই পুরস্কার পেয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

চীনের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় উইঘুর নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন ক্যাটাগরিতে প্রথমবারের মতো পুরস্কার পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক সংবাদমাধ্যম বাজফিড।

১৯১৭ সাল থেকে পুলিৎজার পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকতায় সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার এটি। সাংবাদিকতা ছাড়াও সাহিত্য, সংগীত, নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির একটি বোর্ড প্রতিবছর পুরস্কার ঘোষণা করে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *