প্রশাসনের খামখেয়ালিপনায় হরিলুট হচ্ছে বিশ্বনাথ খাজাঞ্চি নদীর মাটি

Uncategorized
শেয়ার করুন

ডাক ডেক্স : সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিশ্বনাথ উপজেলা প্রশাসনের খামখেয়ালিপনার কারনে একটি সিন্ডিকেট নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। স্থানীয় জনসাধারণ বিষয়টি উপজেলা প্রসাশনকে অবহিত করলে তারা দায় চাপাচ্ছেন সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপর। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, নদী থেকে বেপরোয়াভাবে বালি উত্তোলন করে বিক্রি করা বেআইনি ও অবৈধ্য এবং বিষয়টি দেখার দায়িত্ব স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের। এমতাবস্থায় খাজাঞ্চি ইউনিয়নের রাজাগঞ্জ বাজার এলাকায় খাজাঞ্চি নদীর বালু বেপরোয়া ভাবে উত্তোলন করে বিক্রি কওেলও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছেনা। ফলে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানাযায়, বর্তমান সরকারের নদী খনন অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় লামাকাজি ইউনিয়নের হাজারিগাঁও গ্রামের উত্তর থেকে মরা সুরমার প্রায় ২ কিলোমিটার সহ ১৮ কিলোমিটার নদী খননের কাজ চলছে। এই নদী খননে ১৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যায় ধরা হয়েছে। এসএ রেকর্ড মতে মূল নদী খনন করে নদী খননের মাটি দিয়ে নদীর উভয় তীর বেঁধে ঘাস ও গাছ লাগিয়ে দেয়ার কথা। কিন্তু সংলিষ্ট ঠিকাদার সুরমা নদীতে খনন কাজ থাকাবস্থায় খাজাঞ্চি নদীর কান্দিগাঁও এলাকায় একটি সিন্ডিকেট বেআইনি ও অবৈধভাবে বিপুল পরিমান মাটি বিক্রি করছে। রাতের বেলায় ট্রাক ভরে মাটি নেয়ার সময় বৈদ্যুতিক খুটির সাথে ধাক্কা লেগে একটি ট্রান্সফরমার পুড়ে যায়। এতে এই এলাকা দুই দিন অন্ধাকারাচ্ছন্ন ছিল। স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ, নদীর মাটি একটি মহল সরকারে বিনানুমতিতে বিক্রি করে ব্যবসা করছে। নদীর যে দিকে মাটি কাটা হচ্ছে সে দিকে নদী খনন নাও হতে পারে। যে কারনে বন্যার সময় এই এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে এ মাটি কাটার কারনে এলাকার মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে। মধ্যেখানে কতিপয় ব্যক্তি সরকারি মাটি বিক্রি করে টাকা কামাই করছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবহিত করা হলে তিনি বলেছেন, নদী থেকে বিনানুমতিতে মাটি কাটা বা উত্তোলন সম্পূর্ণ বেআইনি ও অবৈধ। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বর্ণালী পালকে জানালে তিনি বলেন, যেহেতু পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে এ নদী খনন করা হচ্ছে সেহেতু এ দায়িত্ব তাদের। উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিপরিতমুখি অবস্থানের কারনে নদীর মাটি বিক্রি করে সুবিধা নিচ্ছে একটি মহল। বলা আবশ্যক যে, যে জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে সেখানে এখনো নদী খননের কাজ শুরু হয়নি। উল্লেখ্য যে, মরা সুরমা থেকে জগন্নাথপুর টুকের বাজার পর্যন্ত (বিশ্বনাথ অংশে) ১৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ১৮ কিলোমিটার নদী খনন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসি জেলা প্রশাসকের হস্থক্ষেপ কামনা করছেন।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *