অনলাইন ডেস্ক :: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাত করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।
বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেছেন, “আমরা বলেছি, দুইটা বিষয় স্পষ্ট হওয়া দরকার। নির্বাচনটা কখন হবে? আপনি যে সময়সীমা দিয়েছেন, এর ভেতরে জনগণের কোনো বড় ধরনের ভোগান্তি না হয়ে একটা কমফোর্টেবল টাইমে নির্বাচন হওয়া উচিত। আর দুই নম্বর হলো, নির্বাচনের আগে সংস্কার ও দৃশ্যমান বিচারের কিছু প্রক্রিয়া জনগণের সামনে আসতে হবে। সংস্কার শেষ না করে যদি নির্বাচন হয়, জনগণ এই নির্বাচনে তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না।”
“আবার সব সংস্কার এই সরকারের পক্ষে করা সম্ভবও নয়” বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এরপর তাকে উপস্থিত সাংবাদিকদের একজন প্রশ্ন করেন যে আজকের আলাপে জামায়াতে ইসলামী কোনো সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে কিনা। উত্তরে তিনি বলেন, “আমরা কোনো সময় বেঁধে দেইনি। আমরা কমফোর্টেবল দুইটা টাইম জাতিকে জানিয়েছি। যদি সংস্কার শেষ হয়, তাহলে ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগে এটা (নির্বাচন) হতে পারে। আর যদি আরেকটু সময় লাগে, তাহলে রোজার পরপর হতে হবে। তারপর এটাকে টেনে লম্বা করলে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে না।”
জামায়াতের দুই দাবির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা কী বলেছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তিনি গভীর মনোযোগ সহকারে শুনেছেন এবং আমাদের আস্থা হয়েছে যে তিনি বিষয়টাকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন।”
বিএনপি যে তিনজন উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়েছে, সে বিষয়ে জামায়াতের অবস্থান জানতে চান সাংবাদিকরা।
উত্তরে তিনি বলেন, “পদত্যাগ চাইলো বিএনপি, আর ফতোয়া দেবে জামায়াতে ইসলামী। এটা কি মানায়? যারা পদত্যাগ চেয়েছে, তারাই ব্যাখ্যা করবে। আমরা কারও কোনো পদত্যাগ চাইনি।”
সবশেষে এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করে, “সরকার আপনাদের কেন ডেকেছিলো? কী বলতে চায় আপনাদেরকে?”
উত্তরে তিনি তখন বলেন, “আমাদের ব্যাপার আর বিএনপির ব্যাপার একরকম না। একটু পার্থক্য আছে। আমরা কিন্তু নিজেরাই চেয়েছি। টাইমটা ফিক্স-আপ হয়েছে। দাওয়াত আমরা পেয়েছি, কিন্তু এর আগে আমরাই চেয়েছি এবং আমাদের চাওয়ার প্রেক্ষিতেই আজকে সন্ধ্যা ৬টায় সময় নির্ধারিত হয়েছিলো। কিন্তু আমাদের অন্য একটি দলীয় কর্মসূচির কারণে আমরা চেয়েছিলাম, আমাদেরকে আরও দুই ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
“উনি শুধু এটুকুই বলেছেন, দেশ আমাদের সবার। আমি (মুহাম্মদ ইউনূস) অবশ্যই একটি অর্থবহ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন দিতে চাই। আমি যেন-তেন কোনো নির্বাচন দিতে চাই না,” যোগ করেন জামায়াতের আমির।