পুলিশের সাহায্য না পেয়ে চোরাই গাড়ি উদ্ধারে স্বামী-স্ত্রীর অভিযান

Uncategorized
শেয়ার করুন

অনলাইন ডেস্ক :: গাড়ি চুরি হওয়ার পর পুলিশের কাছে ছুটে যান স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু বারবার ধরনা দিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। পুলিশ জানিয়ে দেয়, ‘তারা খুব ব্যস্ত। এখন গাড়ি উদ্ধারে তদন্ত বা অভিযান কোনোটাই সম্ভব নয়।’ পুলিশের সাহায্য না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন ওই দম্পতি। শেষমেশ নিজেরাই অভিযান চালান। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লজিস্টিক সাপোর্ট না থাকায় চোরের কাছ থেকে অনেকটা চুরি করে গাড়ি উদ্ধার করতে হয় তাদের।

তাদের জাগুয়ার ই-পেস গাড়িটি এই মাসের শুরুতে তাদের বাড়ি থেকে চুরি হয়। গাড়িটিতে একটি গোস্ট ইমোবিলাইজার লাগানো ছিল। এ ছাড়া গাড়িতে একটি এয়ারট্যাগ লোকেটরও ছিল। লোকেটর ব্যবহার করে তারা নিজেদের গাড়ির অবস্থান দেখতে পাচ্ছিলেন। বিষয়টি পুলিশকে নিয়মিত জানাচ্ছিলেন ভুক্তভোগীরা।
শেষবার তারা যখন ৯৯৯ নম্বরে কথা বলে তখন পুলিশ জানায়, তদন্ত করার সময় তাদের নেই। তারা খুব ব্যস্ত। কখন তদন্ত শুরু করতে পারবে তাও নিশ্চিত নয়।

এমন পরিস্থিতিতে সাহসী সিদ্ধান্ত নেন যুক্তরাজ্যের দম্পতি মিয়া ফোর্বস পিরি ও মার্ক সিম্পসন। তবে লজিস্টিক সাপোর্ট না থাকায় তারা চোরের সঙ্গে সংঘাতে না গিয়ে কৌশল অবলম্বন করেন।

দ্য টাইমসের বরাতে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিম লন্ডনের ব্রুক গ্রিনে তাদের বাড়ি থেকে গাড়িটি চুরি হয়। এরপর গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে তাদের নিজেদের গাড়ি ট্র্যাক করেন। চোরদের কাছ থেকে ফিরিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে উঠেন তারা।

প্রথমবার ৪ জুন পুলিশের কাছে গাড়ি হারানোর অভিযোগ করেন দম্পতি। এয়ারট্যাগ অনুযায়ী, গাড়িটি স্থানীয় সময় ভোর ৩:২০-এ তাদের বাড়ির বাইরে পার্ক করা ছিল। পরবর্তী আপডেটে গাড়িটি সকাল ১০:৩০-এ চিসউইকে ছিল। পুলিশের অনুপস্থিতিতেও দম্পতি সেখানে ছুটে যান। গাড়িটি একটি নির্জন রাস্তায় পাওয়া যায়। চোরেরা গাড়ির ভেতরের অংশ এবং কার্পেট ছিঁড়ে ফেলে।

লিঙ্কডইন পোস্টে পিরি বলেন, নিজেদের গাড়ি ফিরিয়ে নেওয়ার অভিজ্ঞতা একপ্রকার মজার ছিল। কিন্তু এটা আমাকে ভাবায় যে, আমাদের কি এটা করার কথা? এটা স্বাভাবিক কিনা তা নয়, বরং পুলিশের এমন একটি সম্ভাব্য জটিল অপারেশনের তদন্তে কোনো আগ্রহ না থাকা ঠিক কি না? মেট্রোপলিটন পুলিশ দম্পতির গাড়ি উদ্ধার করার পরে সাড়া দেয় এবং বলে একটি ফরেনসিক টিম গাড়িটি দেখতে আসবে।

পিরি বলেন, পুলিশ বলেছে- তারা কার্পেটের নিচে এবং ফিউজ বক্সে আঙুলের ছাপ খুঁজবে। কিন্তু আমরা গাড়িটি খুঁজে পাওয়ার পর অনেকে এটি স্পর্শ করেছে। এখন চোরের সন্ধান পাওয়া অনেক কঠিন।

তিনি আরও বলেন, পুলিশের ভূমিকা দুঃখজনক। যদি গাড়ি চুরি বা অন্যান্য অপরাধের জন্য শাস্তি পেতে না হয় তাহলে মানুষ খারাপ কাজ করা বন্ধ করবে কেন?


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *