নিখোঁজের ১১দিন পর মর্গে মিলল আয়াতুল্লাহ’র মরদেহ

রাজনীতি সারাদেশ সিলেট
শেয়ার করুন

অনলাইন ডেস্ক :: গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আনন্দ মিছিলে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া মো. আয়াতুল্লাহ’র (১৯) লাশের সন্ধান মিলেছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।

সে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা চামরদানী ইউনিয়নের জলুষা গ্রামের মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও সুভা আক্তার দম্পতির সন্তান।

নিহত আয়তুল্লাহ’র পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরেই গাজীপুরের কালিয়াকৈর মৌচাক এলাকা থেকে সে একটি আনন্দ মিছিলের সাথে শফিপুর আনসার একাডেমির সামনে গেলে সেখানে মিছিলকে লক্ষ্য করে তুমুল গোলাগুলি শুরু করে আসনার বাহিনী। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে বহু মানুষ আহত হয়। তখন থেকেই আর খোঁজ মেলেনি আয়াতুল্লাহ’র। নিখোঁজের সময় তার সাথে একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ছিল। তখন থেকেই তাকে খোঁজা খোঁজি শুরু করে তার পরিবার। গাজীপুরের বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গেও খোঁজ নেয়। কিন্তু কিছুতেই তার সন্ধান মেলেনি।

এ বিষয়ে ১৬ আগস্ট (শুক্রবার) তার বড়ভাই মো. সোহাগ মিয়া গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানায় একটি  নিখোঁজ ডায়েরী করলে ওই দিনেই রাত ৮টার দিকে নিখোঁজের ১১ দিন পর ঢাকা সোহরাওয়ার্দি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিখোঁজ আয়াতুল্লাহ’র লাশ পাওয়া যায় মর্মে তার পরিবারকে জানানো হয়।

আয়াতুল্লাহ’র বড়ভাই মো. সোহাগ মিয়া বলেন, সে তাঁর সাথে কালিয়াকৈর উপজেলার জামতলা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতো। সে কালিয়াকৈরের ভান্নারা বাজার এলাকায় মাখলাজুল ইমান নামে একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতো। পাশাপাশি একটি টেক্সটাইল মিলে চাকুরি করতো। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন হবার পর তারা দু’ভাই আনন্দ মিছিলে যোগদান করেন। মিছিলটি কালিয়াকৈরের মৌচাক এলাকা থেকে শুরু হয়ে সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমির কাছে পৌঁছায়। পরে এলোপাতাড়িভাবে সেখানে গুলি চালায় আনসার বাহিনী। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে বহু মানুষ আহত হয়। নিখোঁজ হয় আয়াতুল্লাহ। বহু জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গ থেকে আয়াতুল্লাহ’র লাশের সন্ধান পেয়েছি।

শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মবিন আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে নিহতের পরিবার মরদেহ শনাক্ত করেছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *