অনলাইন ডেস্ক :: পটুয়াখালীর দুমকীর আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজা শুক্কুরের বাড়ি থেকে তার চাচা সৈয়দ হাবিবুর রহমানের একটি আধা পাকা বসত ঘরে ৩১৮ বস্তা জেলে বরাদ্দের সরকারি চাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। তবে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানের দাবী জেলেদের অনুরোধে পরিবহন খরচ কমাতে এ চাল সুবিধাজনক স্থানে বিতরণের জন্য আনা হয়েছে।
শনিবার(২৯ জুন) দিবাগত রাত ১০ টার দিকে উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের জলিশা গ্রামে সৈয়দ গোলাম মর্তুজা শুক্কুরের বাড়ির পূর্ব ভিটিতে তার চাচা হাবিবুর রহমানের ঘরে চেয়ারম্যানের রাখা এ চাল অভিযান চালিয়ে জব্দ করে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখেন দুমকী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাহিন মাহমুদ। এ সময় স্থানীয় ইউনিয়নের ট্যাগ কর্মকর্তা, এসিল্যান্ড, দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। তবে ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজা শুক্কুরের দাবী আমার ইউনিয়নে ৭,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সুবিধাভোগী জেলেদের অনুরোধে পরিবহন খরচ কমাতে তাদের কষ্টের কথা চিন্তা করে আমার বাড়িতে অর্থাৎ তাদের সুবিধাজনক স্থানে চাল বিতরণের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে । এ সময় স্থানীয় জেলেরা উপস্থিত হয়ে বলেন, আমাদেরকে স্লিপ দেয়া হয়েছে এবং আমাদের অনুরোধে পরিবহন খরচ কমাতে বিতরণের জন্য এ চাল আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা শুক্কুর বলেন, আমি কোন অসৎ উদ্দেশ্য নয় বরং জেলেদের পরিবহন খরচের কথা চিন্তা করে তাদের সুবিধার্থে এখানে চাল বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।তবে ইউনিয়ন পরিষদের বাহিরে চাল সংরক্ষণ করায় আইনের ব্যত্যয় হয়েছে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) শাহিন মাহমুদ বলেন , ইউনিয়ন পরিষদের বাইরে চাল মজুদ করার বিধান নেই। আপাতত চালের বস্তাগুলো জব্দ করে চাল রাখা রুমটি সীলগালা করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।