আব্দুস সালাম, বিশ্বনাথ
বাংলাদেশ আনজুমানে আল-ইসলার সভাপতি ও আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য আল্লামা হুসামুদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী বলেছেন, ধনীদের উপরে গরিবের হক রয়েছে। তাই আর্থিক সামর্থবানরা শিরনীর মাধ্যমে গরিব দুঃখী মানুষের হক আদায় করে থাকেন। এতে অনেক সাওয়াব হাসিলও হয়। শুধু ধর্মীয় দৃষ্ঠিতে নয় সামাজিক দৃষ্টিতে আদিকাল থেকে আমাদের পূর্ব পুরুষরা শিরনী করে আসছেন। এভাবে হক আদায় করে আমরা সৃষ্টি কর্তার নৈকট্ট লাভ করতে পারি। তিনি বলেন, সমাজে গরিবদের কোন ভাবেই অবহেলা করা ঠিক নয়। আমরা যারা সামর্থবান আছি তারা খুজে খুজে গরিবদের পাশে দাঁড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে গরিবরাও আল্লাহর সৃষ্টি। গরিবদেরকে সহায়তা করে আখেরাতের মুক্তি লাভ করাও সম্ভব হতে পারে।
তিনি গতকাল (২৪জুন) রবিবার বিকেলে বিশ্বনাথের শিমুলতলা গ্রামের হাজি আব্দুল মতিন এর কুলখানি অনুষ্ঠানে এক সংকিপ্ত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মরহুম হাজি আব্দুল মতিন বিশ্বনাথ সান সাইন স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ও আল-ইসলাহ নেতা মাওলানা জাকারিয়া আহমদের পিতা। কুলখানিতে এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিসহ প্রায় ৭/৮শত ব্যক্তিদেরকে সিরনী খাওয়ানো হয়। তাছাড়া ৩টি গ্রামের মহিলাদের বাড়িতে খাবার পাঠানো হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুনু মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ আনজুমানে আল-ইসলাহ কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যক্ষ একে এম মনোওর আলী, বিশ্বনাথ দারুল উলুম ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ নোমান আহমদ, মিয়ার বাজার আলিম মাদরাসার সুপার মাওলানা আব্দুল মোক্তাদির খান, বিশ্বনাথ উপজেলা আল-ইসলার সভাপতি তালুকদার মো. ফয়জুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মাওলানা লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আকমল হোসাইন শাকুর, আল-ইসরাহ নেতা মাওলানা আঙ্গুর আলী। অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট পশ্চিম জেলা তালামিযের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, অর্থ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন লতিফি, বিশ্বনাথ দক্ষিণ উপজেলা তালামিযের সভাপতি মাওলানা আব্দুল মোক্তাদির ফয়ছল, অলংকারি ইউনিয়ন আল ইসলার সভাপতি মাওলানা নুরুল ওয়াহিদ, সাধারণ সম্পাদক রজব আলী, দায়িত্বশীল হাফিজ আছকির আলী, শেখ হাবিবুল্লা দাখিল মাদরাসার সুপার শাইদুর রহমান, আ’লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান লিলু, তালামিয বৈরাগী শাখার দায়িত্বশীল হাফিজ জুনেদ আহমদ প্রমুখ।