দুটি হত্যাকান্ডের পর বিশ্বনাথের চাউলধনী হাওরের সীমানা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত

বিশ্বনাথ সিলেট
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বিশ্বনাথ উপজেলার সর্ববৃহৎ চাউলধনী হাওরে সীমানা নির্ধারণে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া চাউলধনী হাওরে কোন জটিলতা সৃষ্টি না হওয়ার জন্য প্রশাসনিক উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে।

গত ২৬ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনন্দা রায়ের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলা উদ্দিন কাদেরের পরিচালনায় এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ওসমানী নগর ও বিশ্বনাথের দায়িত্ব প্রাপ্ত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা, বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোঃ রুবেল মিয়া, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরব খান, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গৌছ আলী, সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া, জামায়াতে ইসলামীর আমির নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী এবং দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আরশ আলী, লৎফুর রহমান, আজাদুর রহমান আজাদ, ইব্রাহিম আলী সিজিল।

চাউলধনী হাওরের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান কল্পে বক্তব্যে রাখেন চাউলধনী হাওর ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলনের আহবায়ক আবুল কালাম, মাষ্টার বাবুল আহমেদ, সাবেক আনোয়ার হোসেন ধন মিয়া, আবদুল মমিন কালু ও ইছাক আলী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নজির উদ্দিন, মাওলানা ছমির উদ্দিন, আবু তাহের মিছবাহ, হুছন আহমদ, আবু তাহের, আনচার মিয়া, জামাল প্রমুখ। চাউলধনী হাওর ইজারাদারের পক্ষে দশঘর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম, আবদুল জলিল, জুনাব আলী বক্তব্য রাখেন।

বৈঠকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ভূমির মালিকদের বক্তব্য শোনে চাউলধনী হাওরের ১৭৮.৯৮ একর ভূমির সীমানা চিহ্নিতকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং সীমানা নির্ধারণে পাকা পিলারের ব্যয়ভার বহন করবে দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ। সভায় ২০০৯সালের জলমহাল নীতিমালা অনুসারে কৃষি উৎপাদনের প্রয়োজনীয় পানি সংরক্ষণ করে ভাসমান পানিতে মাছ আহরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং কোন ক্রমেই যাতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি না ঘরে সেজন্য সকল মহলকে সতর্ক থাকার আহবান জানানো হয়।
দশঘর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি হাওরটি লীজ নিয়ে একটি মহলের নিকট ইতিপূর্বে সাবলীল প্রদান করে।

এতে কৃষকের মালিকানাধীন পুকুর ভূমি জবর দখল করে মাছ লুটপাট করে নেয় সাবলীল বাহিনী। পানি সেচ দিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও দীর্ঘদিন মেশিন দিয়ে সেচের মাধ্যমে হাওর শুকিয়ে মাছ ধরার ফলে প্রতি বছর কয়েক হাজার একর বুরো জমিতে কৃষক ধান উৎপাদক করতে পারেন নি। এতে হাওর পারের কয়েক হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। ২০০১সালে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সাবলীল গৃহীত আওয়ামীলীগ নেতা যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল বাহিনীর হাতে খুন হয়েছিল স্কুল ছাত্র সুমেল ও কৃষক ছরকুম আলী দয়াল।

 

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা আলা উদ্দিন কাদের জানান, বৈঠকে সীমানা চিহিৃত করণ ও বিধি মোতাবেক ভাসমান মাছ আহরণ ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

গত ২৬ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনন্দা রায়ের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলা উদ্দিন কাদেরের পরিচালনায় এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ওসমানী নগর ও বিশ্বনাথের দায়িত্ব প্রাপ্ত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা, বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোঃ রুবেল মিয়া, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরব খান, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গৌছ আলী, সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া, জামায়াতে ইসলামীর আমির নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী এবং দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আরশ আলী, লৎফুর রহমান, আজাদুর রহমান আজাদ, ইব্রাহিম আলী সিজিল।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *