স্টাফ রিপোর্টার : দীর্ঘ ১৭ বছর পর আগামী ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে ৭নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য (মেম্বার) প্রার্থী হয়ে তালা প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন ওই ওয়ার্ডের চান্দভরাং গ্রামের বিশিষ্ট সালিশব্যক্তিত্ব ও শিক্ষানুরাগী আনোয়ার হোসেন আঙ্গুর মিয়ার ছেলে তরুণ সমাজকর্মী ও সাংবাদিক পাভেল সামাদ। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সাথে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত পাবেলের একটা ব্যক্তি ইমেজ রয়েছে। তাছাড়াও মাঠ পর্যায়ের একজন সাংবাদিক হিসেবে জনসাধারণের সাথে রয়েছে তার এক সুনিবিড় সম্পর্ক। রয়েছে পারিবারিক পরিচিতি। এলাকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার পিতার অবদান এবং দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য থাকাকালে এতদঞ্চলের উন্নয়ন ও সমাজসেবায় তার মাতার ভূমিকা পাবেলের প্রার্থী হওয়ার পেছনে বাড়তি প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে-এমনটাই মনে করছেন বেশির ভাগ ওয়ার্ডবাসী।
দশঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার আজ শেষ দিন। কয়েকদিন ধরে ওই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে সাধারণ সদস্য পদে যে ৫জন প্রার্থী হয়েছেন, তারা প্রত্যেকেই মাঠে রয়েছেন। তবে, প্রচারণার দিক দিয়ে তাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছেন পাবেল সামাদ। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন, মহিলা ও পুরুষ ভোটার, নতুন ভোটার হওয়া তরুণ-তরুণীসহ অনেকের সাথে কথা বলার পর তা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, জনসমর্থনেও এগিয়ে রয়েছেন তিনি।
স্থানীয় অনেকেই জানান, অন্যান্য প্রার্থীর তুলনায় পাবেল সামাদের জয়ের সম্ভাবনাই বেশি। শুরু থেকে এখনো পর্যন্ত মানুষের দ্বারে দ্বারে অবিরাম ছুটে যাচ্ছেন তিনি। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত অবধি তিনি ছুটছেন ভোটারদের কাছে। যে কারণে অন্য সব প্রার্থী থেকে এগিয়েই আছেন পাবেল সামাদ।
কথা হলে দশঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী সাংবাদিক পাবেল সামাদ বলেন, ‘আমার নির্বাচনী ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনসাধারণ প্রতিনিয়ত আমাকে যে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ও ভালবাসা দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের সে সমর্থন ও ভালবাসার প্রতিদান যেন দিতে পারি। আমি আশাবাদী ২৯ অক্টোবর তারা ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে আমাকে নির্বাচিত করে তাদের খেদমত করার সুযোগটুকু দিবেন। অনিয়ম, অসঙ্গতি, অন্যায়, অবিচার ও দুর্নীতিমুক্ত একটি পরিকল্পিত উন্নয়নসমৃদ্ধ ওয়ার্ড হিসেবে ৭নং ওয়ার্ডকে আদর্শ ওয়ার্ডে রূপান্তরিত করাই আমার মূল লক্ষ্য।