তৌকিরের সাথে সেদিন কী হয়েছিল বিমান দু র্ঘ ট না র আগে?

জাতীয় সারাদেশ
শেয়ার করুন

অনলাইন ডেস্ক :: ২১ জুলাই দুপুর ১টা ১২ মিনিটে কুর্মিটোলা বিমানঘাটি থেকে একক প্রশিক্ষণ ফ্লাইটে উড্ডয়ন করেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ তৌকির ইসলাম। এটি তার প্রশিক্ষণের শেষ ধাপ এবং এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমানটির একক উড়ান ছিল। তবে উড্ডয়নের মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের প্রাথমিক ভবনের উপর বিধ্বস্ত হয়।

বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভবনে অগ্নিকাণ্ড শুরু হয়, যেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসরুম এবং শিক্ষক মিলনায়তন ছিল। এতে অনেক শিশু, কিশোর এবং শিক্ষক নিহত হন। ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে জানা গেছে, দুর্ঘটনাস্থলে মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বিমানটির যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ার পর পাইলট তৌকির ইসলাম জনবহুল এলাকা থেকে বিমানের দিক পরিবর্তন করে জনবিরল স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু সফল হতে পারেননি।

মাইলস্টোন কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র সালমান হাবিব রাফি জানিয়েছেন, বিমানটি তার ক্লাসরুমের ঠিক পাশ দিয়ে এসে গাছের ডালপালা ভেঙে পড়েছে এবং তারপর ভবনের উপর আছড়ে পড়ে।

পাইলট তৌকির ইসলাম ইজেকশন বা প্যারাশুট ব্যবহার করতে পারেননি, যা তার প্রাণ রক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, মাইলস্টোন কলেজ মাঠের মাঝ দিয়ে নিয়মিত বিমান ওঠানামা করলেও অনেক সময় বিমানগুলো তাদের ঘরের খুব কাছে দিয়ে উড়ে যায়, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বিমানটি নিয়মিত অবতরণের রুটেই ছিল, তবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। পাইলটের সঙ্গে কন্ট্রোল রুমের যোগাযোগ এবং অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য তদন্তে উঠে আসবে।

পরিস্থিতি এখনো তদন্তাধীন। সম্পূর্ণ তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *