স্টাফ রিপোর্টার : পাওনা টাকা না পেয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ইউনিক এন্টারপ্রাইজ গাড়ির সীটেই মৃত্যুবরণ করেন মুহিম উদ্দিন নামের এক প্রবাসির (৫০)। তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের মৃত জবান আলীর পুত্র। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি সায়েদাবাদ থেকে হানিফ এন্টারপ্রাইজ নামক গাড়িতে উঠেন এবং নারায়নগঞ্জ সাইন বোড এলাকায় আসার পর পাশের সীটে থাকা অপর যাত্রী দেখতে পান লোকটি অজ্ঞান অবস্থায় আছে। বিষয়টি গাড়ির ড্রাইভারকে জানালে তাৎক্ষণিক গাড়িটি দাঁড় করেন এবং একজন প্রাথমিক চিকিৎসক লোকটিকে দেখে হার্টএটাক হয়েছে ধারনা করেন। গাড়িটি কিছু পিছিয়ে গেলে একটি পুলিশ ফাড়ি পাওয়া যায় এবং গাড়ির যাত্রিরা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন এবং নিশ্চিত হয়েছেন লোকটি মারা গেছেন। এক পর্যায়ে হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় একটি এ্যাম্বুলেন্স এনে মৃত ব্যক্তিকে হানিফ গাড়ির সুপারভাইজারকে সাথে দিয়ে তার বাড়িতে পাটিয়ে দেয়া হয়। পরে মৃত ব্যক্তির পকেটে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায় এবং একটি নাম্বারে কল করে মৃত্যুর খবরটি তার পরিবারকে জানানো হয়। আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ব্যাপারে মৃত ব্যক্তির ভাতিজা শিশু মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, পাওনা টাকা আদায় করতে গত ১২ জানুয়ারি মঙ্গলবার সৌদি প্রবাসি নুর হোসেন, ঢাকায় অবস্থানরত জসিম ও মোজাম্মেল হোসেন বাপ্পি নামের এই ২ ব্যক্তিদের কাছে আমার চাচা মুহিম মিয়া ঢাকায় যান। ঢাকায় যাওয়ার পর যাদের কাছে তিনি টাকা পান তারা টাকা দেয়নি। নিরোপায় হয়ে আমার চাচা বাড়ি ফিরছিলেন এবং এই টেনশনে আমার চাচা মারা গেছেন। তবে, কার কাছে তিনি টাকা পান এমন প্রশ্নের জবাবে শিশু মিয়া বলেন, আমার চাচার মোবাইল চালু করলে বিস্তারিত জানা যেতে পারে।