ডাক ডেস্ক : ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছিলেন স্ত্রী। স্বামী ঘরে এসে স্ত্রীকে ঝুলতে দেখে গলার ফাঁস খুলে খাটে নামিয়ে আনেন। অচেতন স্ত্রীকে মৃত ভেবে স্বামীও একই ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি দেন। পরে তাদের দুজনকে স্বজনরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন আর স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করালে জ্ঞান ফিরে আসে।
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে সাতক্ষীরা পৌরসভার ঝুটিতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত স্বামীর নাম সোহেল রানা আর আহত স্ত্রীর নাম রুপা খাতুন। তাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
সোহেল রানা একজন ঘের ব্যবসায়ী। তিনি শ্যামনগরের খুটিকাটা গ্রামের মহসীন আলীর ছেলে। তিনি সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে সাতক্ষীরা পৌরসভার ঝুটিতলা এলাকায় থাকতেন।
সোহেল রানার প্রতিবেশী কাঞ্চন রহমান বলেন, সোহেল-রুপা দম্পত্তির মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। সোমবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ছেলেকে নিয়ে নিকটবর্তী এলাকায় বেড়াতে যান সোহেল। আধাঘণ্টা পর বাড়িতে এসে স্ত্রী রুপা খাতুনকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তিনি। তৎক্ষণাৎ স্ত্রীকে নামিয়ে খাটে শুয়ে দেন। অচেতন স্ত্রীকে মৃত ভেবে সোহেল রানা একই ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি দেন। প্রতিবেশীরা এসে তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক স্বামী সোহেল রানাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর অচেতন অবস্থায় রুপা খাতুনকে ভর্তি করা হয় সদর হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে
রুপা খাতুনের মা মঞ্জুয়ারা খাতুন জানান,‘ আমার মেয়ে রুপা খাতুনের জ্ঞান ফিরেছে। সে অপেক্ষাকৃত ভালো আছে। জামাই সোহেলের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেন শাশুড়ি মঞ্জুয়ারা।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম জানান,‘‘সোহেলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সুত্র-সময় টিভি