সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরি কমিটির সভায় সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার নৌকার মনোনীত প্রার্থীদের বিরোধীতাকারী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ১২ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকালে জেলা পরিষদ হলরুমে আয়োজিত কার্যকরি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান এর পরিচালনায় আয়োজিত দীর্ঘ ৫ ঘন্টাব্যাপী বৈঠকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিরোধীতাকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কি ব্যবস্থা করা যায় এবং সংগঠনকে গতিশীল করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভায় বলা হয়, সিলেট জেলায় ১০৭টি ইউনিয়ন রয়েছে। এরমধ্যে ৪টি ইউনিয়ন সিটি কর্পোরেশনের আওতায় চলে গেছে। ৮৮ইউনিয়নে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ৮৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে ৪২টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী এবং ১৪টিতে বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বাকী সব ইউনিয়নে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীগণ বিজয়ী হন। সভায় বক্তারা বলেন,উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের পদধারী অনেক নেতা শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকার প্রার্থীকে ভোট দেননি বরং প্রার্থীকে পরাজিত করতে মরিয়া হয়ে মাঠে কাজ করেছেন বলে গুরুত্বর অভিযোগ রয়েছে। আলোচনার পর প্রত্যেক উপজেলায় জেলার সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা আগামী বৈঠকের পূর্বে রির্পোট দাখিল করার পর অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহিত হয়। পর্যালোচনা সভায় অধিকাংশ বক্তা মেয়াদ উর্ত্তীণ ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটি ভেঙ্গে দলকে ঢেলে সাজনোর মত প্রকাশ করেন। বিশেষ করে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ও খাজাঞ্চী ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীর বিরোধীতাকারীদের চিহ্নিত করার বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, বিশ্বনাথের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা এডভোকেট মাহফুজুর রহমান সহ জেলার নেতারা এ দুটি ইউনিয়নের নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরেন। বৈঠকে গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড ইকবাল আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি, হাবিবুর রহমান হাবিব এমপি, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, আশফাক আহমদ, শাহ মোশাহিদ, এড নিজাম উদ্দিন, শাহ ফরিদ আহমদ, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, ড.আহমদ আলী কবির, মুক্তিযোদ্ধা সাদ উদ্দিন, হুমায়ুন আহমদ কামাল, মোহাম্মদ আলী দুলাল, কবির উদ্দিন আহমদ, এড মাহফুজুর রহমান, সাইফুল আলম রুহেল, এড রঞ্জিত সরকার, এড আজমল আলী, ফারুক আহমদ, শমশের জামাল, মবশ্বির আলী, আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, রইছ আলী, এড মোঃ আব্বাস উদ্দিন, এড সালেহ আহমদ হীরা, বেগম সামছুন্নাহার মিনু, মুক্তিযোদ্ধা কবির উদ্দিন, বুরহান উদ্দিন, এড ইসতিয়াক আহমদ চৌধুরী, সাইফুর রহমান খোকন, সামছুল আলম সেলিম, ডাঃ মোঃ শাকির আহমদ শাহিন, মজির উদ্দিন, মতিউর রহমান মতি, লোকমান উদ্দিন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্ররাহিম, মোস্তাকুর রহমান মফুর, নিজাম উদ্দিন, আবু জাহেদ, আখলাকুর রহমান সেলিম, শাহাদাত রহিম, আব্দাল মিয়া, এড বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল আলম, সাহিদুর রহমান শাহিন, আনহার মিয়া, এড নুরে আলম সিরাজী, কামাল আহমদ, এমকে শাফি চৌধুরী, আব্দুল বারী, এএইচএম ফিরোজ আলী, আমাতুজ জোহরা রওশন আরা জেবিন, মোঃ জাকির হোসেন, এড ফখরুল ইসলাম, এড মনসুর রশীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফুর লেবু, আবুল লেইছ চৌধুরী, ডাঃ নাজরা আহমদ প্রমুখ।
সভায় যে সকল উপজেলায় বর্ধিত সভা হয়নি, সেই উপজেলাগুলোতে বর্ধিত সভা আয়োজনের তারিখ নির্ধারন করা হয় এবং প্রত্যেক ইউনিয়নে ওয়ার্ড কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। কমিটি গঠনের সময় বিতর্কিত ব্যক্তিদের কমিটিতে অন্তুভুক্ত না করার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়।