ডাক ডেস্ক : সোমালি জলদস্যুদের হাতে ছিনতাই হওয়া মাল্টার পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ এমভি রুয়েনের ক্রুদের উদ্ধারে বড় অভিযানে নেমেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। শনিবার এক বিবৃতিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এমভি রুয়েন গত ১৪ ডিসেম্বর ছিনতাই করেছিল সোমালি জলদস্যুরা। ওই জাহাজ তারা জলদস্যুতার কাজে ব্যবহার করতো বলে ধারণা। শুক্রবার আন্তর্জাতিক জলসীমায় এমভি রুয়েন থেকে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজে গুলি চালানোর পরে নৌবাহিনী এটির গতিরোধ করে।
নৌবাহিনী এক্সে একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘জাহাজে থাকা জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। জাহাজটি ও জাহাজে জিম্মি করে রাখা বেসামরিক নাগরিকদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’
গত ডিসেম্বরে সোমালিয়া থেকে প্রায় ২৪০ কিলোমিটার দূরে ইয়েমেনের সকোত্রা দ্বীপের কাছে জাহাজটি ছিনতাই করা হয়। তখন এতে ১৮ জন ক্রু ছিল।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সোমালি জলদস্যুদের কার্যকলাপ হ্রাস পেয়েছে। তবে এই অঞ্চলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও বিশৃঙ্খলার কারণে উদ্বেগ বাড়ছে। এর মধ্যে আবার ইয়েমেনি হুথি বিদ্রোহীদের তাণ্ডব শুরু হয়েছে।
হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের কারণে বাণিজ্যিক জাহাজে আক্রমণ বাড়িয়েছে হুথিরা। এতে বৈশ্বিক বাণিজ্য রুটে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলা ও সমুদ্রপথে নিরাপত্তা সহায়তা দিতে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় নৌশক্তি কাজে লাগানো শুর করেছে ভারত। এর মধ্যে জলদস্যুতা বিরোধী টহল দিতে লোহিত সাগরের কাছাকাছি মোতায়েন বাড়িয়েছে দেশটি।
ভারতীয় বাহিনীতে তিনটি গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ও রিকনেসান্স বিমান রয়েছে। এমভি রুয়েন নেভিগেশন মেরিটাইম বুলগার নামে একটি বুলগেরিয়ান কোম্পানির মাধ্যমে পরিচালিত। এডেন উপসাগর ও ভারত মহাসাগরে জলদস্যুতা বন্ধ করার জন্য বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও গত পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে এটি ছিনতাই ছিল প্রথম ঘটনা।