খুনি সাইফুল সুমেল হত্যা কান্ডের দায় স্বীকার করলেও অস্ত্রের সন্ধান দিচ্ছে না

Uncategorized
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বনাথের ডাবল মার্ডারের আসামী যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুলের সুমেল হত্যা মামলার ৫ দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার বিশ্বনাথ থানা থেকে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হতে পারে। স্কুল ছাত্র সুমেল হত্যা মামলায় আদালত তাকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। গত ১৪ নভেম্বর রবিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিশ্বনাথ থানায় নিয়ে আসা হয়। সাইফুল রিমান্ডে থাকাবস্থায় থানা পুলিশ তাকে বিভিন্নভাবে হত্যা কান্ডের কারণ ও অবৈধ অস্ত্রের সন্ধান, অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসীদের নাম এবং তার আশ্রয় প্রশ্রয় দাতাদের নাম জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হত্যা কান্ডের দায় স্বীকার করে সাইফুল পুরো ঘটনার বর্ণনা দিলেও অবৈধ অস্ত্রের সন্ধান দিচ্ছে না। ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ও অবৈধ অস্ত্রের কথা জিজ্ঞাসাবাদ করলেই চালাক চতুর সাইফুল বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। কিন্তু বেশ কিছু গুরুত্বপুর্ণ তথ্য দিয়েছে বলে তদন্ত কারী কর্মকর্তা ওসি রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী জানিয়েছেন। তিনি জানান, সাইফুল এতো এক চালাক প্রকৃতির লোক যে, মুহুত্বের মধ্যেই কথা বদলায়। তার কোন কথা সত্য আর কোন কথা মিথ্যা বোঝা বড় মুশকিল। তবে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক লাইসেন্সকৃত বন্দুক এসএমপির শাহপরান থানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই বন্দুক দিয়ে নিজেই কয়েক রাউন্ট গুলি করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে। কিন্তু হত্যাকান্ডের পর বন্দুক ও গুলি থানা কিংবা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দেয়নি। জেলা প্রশাসক তার বন্দুক বাজেয়াপ্ত করেছেন। রিমান্ডে থাকা অবস্থা তার দেয়া তথ্য যাচাই বাছাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করবে পুলিশ। তদন্তকারী কর্মকর্তা সাইফুলের পুরো বাহিনীর তথ্য সংগ্রহের কাজ করছেন।
উল্লেখ্য যে, গত২৮ জানুয়ার চাইলধনী হাওরের সাবলীজ গ্রহীতা সাইফুল ও তার বাহিনী চৈতন নগর গ্রামের কৃষক সরকুম আলী দয়ালকে হত্যা করে এবং থানা পুলিশের সহায়তায় ১লা মে একই গ্রামের নজিরের বাড়ি জমিতে জোরপূর্বকভাবে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটা শুরু করলে জমির মালিক তাতে বাধা দেন। এর আগের দিন সাইফুল ভাড়াটিয়া কয়েকজন সন্ত্রাসীকে তার বাড়িতে নিয়ে রাখে। ঘটনার সময় কয়েকটি অস্ত্র দিয়ে ও দেশিয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাইফুল বাহিনী প্রতিপক্ষের উপর হামলা করে। এ ঘটনায় সুমেল নিহত হলে তার চাচা ইব্রাহিম আলী সিজিল বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের এই ঘটনায় দেশ-বিদেশে চাঞ্চলের সৃষ্টি হলে আইন শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পান। গত ২১ অক্টোবর সাইফুলকে ঢাকার সেগুন বাগিচা এলাকার একটি ১১ তালা ভবন থেকে বাদী পক্ষ আটক করে রমনা থানা পুলিশের মাধ্যমে বিশ্বনাথে নিয়ে আসেন।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *