খুনিদের গ্রেফতার, জামিন বাতিল, ও ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবীতে: বিশ্বনাথ উত্তাল

Uncategorized
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বনাথের ডাবল খুনের মামলার প্রধান আসামী অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসী সাইফুলকে গ্রেফতার করায় দায়েরী মামলা ২টির প্রথম অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি যেন ঘটে গেল। কারন চাউলধনী হাওর পারের ২৫ গ্রামের মানুষের অশান্তি ও ডাবল খুনের মূল হোতা ছিল যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল। সাইফুল গ্রেফতারে “ভেড়ামাছে পলো ভাঙ্গে” প্রবাদটি যেন বাস্তবে প্রমানিত হয়ে গেল। বিশ্বনাথের অজো পাড়া গাঁেয়র ৪জন লোক ঢাকায় গিয়ে অচেনা-অজানা বড় একটি অট্রালিকা ঘেরাও করে খুনি সাইফুলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া ছিল বিষ্ময়কর ও অকল্পনীয়। আটকের সময় সাইফুল যেন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পেলে। সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও আক্রমনাক্তক কিছু করেনি।

বিশ্বনাথ থানার ওসি(তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমা প্রসাত চক্রবর্তী আটককৃত সাইফুলকে ঢাকা থেকে বিশ্বনাথ থানায় নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে আজ (২২অক্টোবর) শুক্রবার সকাল থেকে লোকজন থানার সামনে এসে সাইফুলকে একনজর দেখতে ভীড় করতে থাকেন। বিকাল ৩টায় কয়েক শতাধিক লোক বিশ্বনাথ থানা সদরে ব্যানার. ফেস্টুন নিয়ে মিছিল সমাবেশ করে। মিছিলকারীরা থানা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিনের সময় ‘খুনিদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার করে খুনি সাইফুলের ফাঁসি চাই , অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার কর,জামিন প্রাপ্ত খুনিদের জামিন বাতিল কর, করতে হবে’ ইত্যাদি শ্লোগানে শ্লোগানে বিশ্বনাথ উত্তাল করেছিল। ভাসিয়া ব্রীজের উপরে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, আবুল কালাম,আরিফ উল্লাহ সিতাব, মাস্টার বাবুল মিয়া, নজির উদ্দিন, সামসুদ্দিন মেম্বার, আনোয়ার হোসেন ধন মিয়া মেম্বার, মাওলানা ছমির উদ্দিন, আহমদ আলী, ইব্রাহীম আলী সিজিল,শফি আহমদ পিয়ার, হোসন আলী, মাহফুজ মিয়া, আমিন উদ্দিন, ফজর আলী, সিদ্দেক আলী, সাবুল মিয়া, মস্তোফা মিয়া, কুতুব উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, আজাদ মিয়া, রিপন মিয়া, চৌধুরী লুৎফুর রহমান, মোক্তার মিয়া,জালাল মিয়া, আফজল হোসেন, রুশন আলী, মনসুর আলী প্রমুখ।

সভায় বক্তারা কৃষক ছরকুম আলী দয়াল ও স্কুল ছাত্র সুমেল হত্যাকারীদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার করে খুনিদের ফাঁসির দাবী জানান। বক্তারা বলেন খুনি সাইফুলের সংঙ্গীয় নজরুল, সদরুল, সিরাজ, আসকিরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তাদের কাছে ৮/১০ টি অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। এদের নিকট থেকে অস্ত্রও উদ্ধার হচ্ছে না। স্কুল ছাত্র সুমেল হত্যা মামলার ১৫ জন আসামী মিথ্যা ও ভূয়া তথ্য দিয়ে আইনের ফাঁক-ফোকরের সুযোগে জামিন লাভ করে। তাদের জামিন বাতিল করতে হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং র্দীঘ ১যুগ ধরে সাইফুল বাহিনীকে বেআইনীভাবে সহয়াতাকারী উপজেলা মৎস কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ভূইয়া, সমবায় কর্মকর্তা কৃষ্ণা রানী তালুকদার প্রাক্তন ওসি শামিম মুসা, এসআই ফজলুর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তিরও দাবী জানান হয়।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *