নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ১নং লামাকাজী ও ২নং খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ৩১ জানুয়ারী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। বাকী ৬টি ইউনিয়নে মহামান্য হাইকোটে রীটের কারনে নির্বাচন হচ্ছে না। দুটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার প্রার্থীগণ গভীর রাতে প্রচন্ড শীতের মধ্যেও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। ভোটাররা প্রত্যেক প্রার্থীকেই ভোট দেয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন। ১নং লামাকাজী ইউনিয়নে ১০টি ভোট কেন্দ্রে ২১ হাজার ৯০৫জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এই ইউনিয়নে ৫জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ৫০জন পুরুষ মেম্বার ও ১৪জন সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার প্রার্থী রয়েছেন। ২নং খাজাঞ্চী ইউনিয়নে ২২ হাজার ৫১৭জন ভোটার ১৩ টি ভোট কেন্দ্রের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এই ইউনিয়নে ৪জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ৪৩জন পুরুষ মেম্বার ও ১১জন সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার প্রার্থী রয়েছেন। ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসন সকল প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করে আচরন বিধি মেনে সুষ্ট ও সুন্দর নির্বাচনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। পুলিশ প্রশাসনও দুটি ইউনিয়নে নির্বাচনে যেকোন গোলযোগ এড়াতে সর্বাত্মক সর্তক অবস্থানে রয়েছেন।
লামাকাজী ইউনিয়নে তৃণমূলে আওয়ামীলীগের পরাজিত দুই প্রার্থী ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা নৌকার মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মাঠে লড়ছেন। মূলত বর্তমান চেয়ারম্যান কবির হোসেন দলা মিয়ার সাথে নৌকার প্রার্থী ফয়ছল আহমদের তীব্র লড়াই হবে। যে কয়দিন সময় রয়েছে, শেষ মুহুর্তের লড়াইয়ে নির্বাচনী বিজয়ের হাঁিস কে হাসবেন তা এই মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না।
এদিকে খাজাঞ্চী ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী আরশ আলী গণিকে সর্বস্তরের জনতা গ্রহণ করলেও সংগঠনের নেতাকর্মীদের জোরালো ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সাধারন সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য মাহবুব আলী একাধিক বৈঠক করে তৃণমূল ভোটে প্রতিদন্ধি ও তাঁদের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সমঝোতা করে গেলেও বৈঠক শেষে যেই সেই অবস্থা হয়ে যায়। কিন্তু সাধারন ভোটাররা মরিয়া হয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করছেন। তারা গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থীকে নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
সিলেট জেলা ও কেন্দ্রের নেতৃবৃন্দ বিশ্বনাথের দুটি ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে কঠোর দৃষ্টি রাখছেন। তারা প্রতিনিয়ত কর্মীদের অবস্থান জানার চেষ্টা করছেন। নিরপেক্ষ ভোটাররা জানিয়েছেন, তারা দলীয়ভাবে নয়, আরশ আলী গণি একজন সৎ, সহজ, সরল এবং সমাজসেবক মানুষ হিসেবে তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। আরশ আলীর সাথে প্রতিদন্ধিতা করতে পারেন বর্তমান চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহমদ। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেয়ার বিষয়টি কেউ বুঝতে পারছেন না। অধিকাংশ ভোটারের ভোট নষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন প্রার্থীরা। সব কেন্দ্রে ইভিএম ভোট হওয়ায় প্রার্থীরা ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। বয়স্ক ভোটাররা ইভিএম পদ্ধতি সর্ম্পকে ধারনা না থাকায় অনেকে ভোট কেন্দ্রে যেতে অনিহা প্রকাশ করছেন।