কাল থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের ‘পরিবহন ধর্মঘট’ !

সিলেট
শেয়ার করুন

অনলাইন ডেস্ক :: কাল মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। রবিবার অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে আজ সোমবার সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল করেনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, রোববার সকালে জকিগঞ্জের কামালগঞ্জ আব্দুল মতিন কমিউনিটি সেন্টারের পাশে এক জায়গায় (সড়কের পাশে) শিশু-কিশোররা ফুটবল খেলছিলো। হঠাৎ বল সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে চলে গেলে সেটি আনতে আবির আহমদ (১৪) নামের এক কিশোর দৌঁড় দেন। এসময় একটি চলন্ত বাসের নিচে পড়ে সে গুরুতর আহত হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন তাকে। ঘটনার পর স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা সেই বাস আটকে পার্শ্ববর্তী একটি স্কুলের মাঠে নিয়ে এতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ- এটি ছাড়াও আরও অন্তত ৩টি বাস ভাঙচুর করা হয় এসময়। এর প্রতিবাদে আজ পরিবহন শ্রমিকরা সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন।

সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মুহিত বলেন, আমাদের বাসের চালক অন্যায় করলে আইন অনুযায়ী তার শাস্তি হবে। কিন্তু আইন হাতে তুলে নিয়ে বাস ভাঙচুর করা ও পুড়ানো সন্ত্রাসী কাজ। আমরা এর বিচার চাই। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাসের চালক বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের আবেদন করেছেন। আমাদের অন্তত ৪টি বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে ও নিরাপত্তার অভাবে আমাদের চালকরা আজ সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। আজ রাতের মধ্যে প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে পুরো সিলেট জেলায় কর্মবিরতি পালন করবেন বাস চালক ও শ্রমিকরা। আমাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করবে বাকি পরিবহন শ্রমিক সংগঠনগুলোও।

জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস-মিনিবাস চলাচল করছে না বলে জানতে পেরেছি। বাসা ভাঙচুরের দাবি করে গতকাল রাতে হেলাল মিয়া নামের একজন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেটি আমরা তদন্ত করে দেখছি। উপজেলাজুড়ে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, বাসচাপায় আবির আহমদ জকিগঞ্জের গণিপুর কামালগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজর নবম শ্রেণির ছাত্র নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার বারঠাকুরী ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের বাহার উদ্দিনের একমাত্র পূত্র।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *