অনলাইন ডেস্ক :: ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডে কলকাতায় গ্রেপ্তার জিহাদ হাওলাদার ওরফে কসাই জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
রোববার (২৬ মে) কলকাতায় সিআইডির প্রধান কার্যালয় ভবানীভবনে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা তিন ঘণ্টা জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তিনি।
এ সময় সিআইডির তিনজন শীর্ষ কর্মকর্তারাও তার সঙ্গে ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে বলে নিশ্চিত করছে ডিবি সূত্র।
এর আগে নিউটাউন থানায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গেও রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন হারুন অর রশিদ। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নিউটাউনে সাঞ্জিভা গার্ডেনের ৫৬-বি ইউ ফ্ল্যাটে যান ডিবির হারুন। সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় সম্ভাব্য খুনের জায়গা, কিছু আলামত খতিয়ে দেখেন বলেও জানা গেছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসেবে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় কলকাতায় পৌঁছান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ। সেখানে অপেক্ষমাণ সাংবাদকিদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
গোয়েন্দা প্রধান বলেন, আমার গোয়েন্দা জীবনে এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড দেখিনি। শুধু তাই নয়, সংসদ সদস্য আনারের মরদেহই মামলাটির অন্যতম প্রমাণ । আর সেটাই খুঁজে বের করা এখন প্রধান লক্ষ্য।
এদিকে সোমবার (২৭ মে) সকালে আবারও সাঞ্জিভা গার্ডেন পরিদর্শন করবেন ঢাকার গোয়েন্দা প্রধান। এরপর যেখানে কসাই জিহাদ সংসদ সদস্য আনারের দেহের খণ্ডাংশ ফেলেছিল বলে দাবি করেছিলেন, সেই বাগজোলা খালের সম্ভাব্য জায়গাগুলো ঘুরে দেখবেন তিনি।
সিআইডির একটি সূত্রে জানা গেছে, কসাই জিহাদ জেরায় বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। সংসদ সদস্য আনারের খণ্ডিত দেহ দুভাগে বিভক্ত করে দুজন দুই জায়গায় নিয়ে যান জিহাদ ও ফয়সাল। ফয়সাল আনারের মাথা ও হাড় ফেলেন আর জিহাদ ফেলেন বাকি দেহ।
গোয়েন্দাদের আরেকটি সূত্র জানায়, সংসদ সদস্য আনারের মাথা থেকে চামড়া তুলে ফেলা হয়। এবং হাড় গুলো কেটে গুড়ো গুড়ো করে দেয়া হয়।
১২ মে সংসদ সদস্য আনার কলকাতায় তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। পরদিন থেকে তিনি রহস্যজনক নিখোঁজ হন। ২২ মে কলকাতার গোয়েন্দারা নিশ্চিত করেন বাংলাদেশের এই সংসদ সদস্য খুন হয়েছেন। তবে প্রায় ১২ দিন হয়ে গেলেও তার মরদেহ উদ্ধার করতে পারেনি ভারতীয় গোয়েন্দা পুলিশ।