নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা সর্বত্র এখন মহামারী করোনার আক্রমন। প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন ঝামেলা এড়াতে লোকজন মৃত্যুর পরও রোগের নাম বলছেন না। বিভিন্ন অজুহাতে করোনার রোগটিকে গোপন করে রাখছেন। করোনা রোগের চিকিৎসার দূর্বলতা ও ঝামেলার কারনে আক্রান্ত লোকের আত্মীয় স্বজন হাসপাতালে কিংবা চিকিৎসকের সরনাপন্ন হচ্ছেন না। কেউ কেউ অর্থাভাবেও চিকিৎসা করছেন না। তবে রোগীদের সর্দি, কাশি, জ্বর, গলা-ব্যাথাসহ সকল উপসর্গের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এমন অবস্থায়ও সামাজিক দূরত্ব বজায় ও মাস্ক ব্যবহার করছেন না।
গত জুন মাসে ৯৯ জন আক্রান্ত হলেও, জুলাই মাসের ১১ দিনে আক্রান্ত শনাক্ত হলেন আরও ৮০ জন। ১২জুলাই ২৪ ঘন্টায় শ্বাসকষ্ট, কাশি ও জ্বর-সর্দি’র মতো উপসর্গ নিয়ে অনন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুধীজনের আশংকা যেভাবে সংক্রমন বাড়ছে, মানুষজন যদি সচেতন না হয় তাহলে করোনার হটস্পটে পরিণত হবে বিশ্বনাথ।
১২ জুলাই বিশ্বনাথ উপজেলার সত্তিশ, বিশঘর, সৈয়দ মান্দারুকার, রামপাশা, জানাইয়া মশুলা’, দ্বিপবন্ধবিলপার, সিংগেরকাছ, সদুরগাও ও নওধার গ্রামের ১জন করে মারা গেছেন। তারা সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসিউতে সংকটাপ্নন অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।
উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গেল ২৫ঘন্টায় উপজেলায় নতুন করে আরও ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫শ ৩জনে। আক্রান্তদের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ নারী-পুরুষ।
বর্তমানে হোমআইসোলেশনে রয়েছেন ৮০ আক্রান্ত ব্যক্তি। সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৪শ ৮জন করোনা আক্রান্ত রোগী।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রহমান মুসা বলেন, ব্যাপক হারে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। পুরো জুন মাসে যতজন আক্রান্ত হয়েছেন, তার চেয়ে এই মাসের এই কয়দিনে ততজন শনাক্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে উপজেলায় করোনা সংক্রমণ ভয়ংকর রূপ নিতে পারে এমন আশংকার কথা জানান তিনি।