ডাক ডেক্স : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দোহাল গ্রামে ৪ সন্তানের জননী আয়ফুল বেগমের লাশ ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই দেবাশীষের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন থেকে এ আদেশ প্রদান করা হয়। এসআই দেবাশীষ জানান, লাশ উত্তোলনের আদেশ পেয়েছি, তবে প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনাক্রমে লাশ উত্তোলনের দিন তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
গত (৩ আগষ্ট) শনিবার দিবাগত রাতে আয়ফুল বেগমকে ঘাতক নুর উদ্দিন ১ লক্ষ টাকার জন্য ঘুমের ঔষধ খাইয়ে এবং শ্বাস রোদ্ধ করে হত্যা করে ঘরের দরজা জানালা লাগিয়ে বের হয়ে যায়। ঘটনাটি প্রথমে বুঝতে না পারায় আয়ফুল বেগমের লাশ দাফন করা হয়। এক পর্যায়ে আয়ফুল বেগমের ১লাখ টাকা খুজে না পাওয়ায় ঘাতক নুর উদ্দিনকে চাপ সৃষ্টি করলে সে লোক জনের সামনে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে। নুর উদ্দিনের নিকট থেকে তথ্য উদঘাটনে আয়ফুল বেগমের ভাই হাজি মখলিস আলী ও ইলিয়াস আলী অগ্রনী ভুমিকা পালন করেন এবং পুলিশের সাথে তারা থানায় যান। এক পর্যায়ে পুলিশ নুর উদ্দিনের কথায় তাদেরকে আটকিয়ে রেখে ৫৪ ধারায় কোর্টে চালান দেয়। দুই ভাইকে কোর্টে চালান দেয়ার আগে ওসি শামিম মুসা স্থানীয় সাংবাদিকদের জানীয়ে ছিলেন, আয়ফুলের ঘাতক একমাত্র নুর উদ্দিন, দুই ভাইকে ৫৪ ধারায় কোর্টে প্রেরন করা হবে। পরবর্তিতে এ হত্যা মামলায় দুই ভাইকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এদিকে যে ১ লাখ টাকার জন্য নুর উদ্দিন আয়ফুল বেগমকে হত্যা করে টাকা চুরি করে নিয়েছিল সেই টাকা এখনো উদ্ধার হয়নি। এসআই দেবাশিষ হাজি মখলিস আলীর মেয়ের নিকঠ থেকে যে ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা নিয়েছিল সেই টাকা প্রায় ১৫ দিন পর আদালতে জব্দ তালিকা দাখিল করেন।
স্থানীয় জন সাধারণের অভিযোগ, নির্দোষ মখলিস আলী ও ইলিয়াস আলীকে টাকার লোভে হত্যাকান্ডে ফাঁসানো হয়েছে। ইতি মধ্যে বাদিনী আদালতকে বিষয়টি জানিয়েছেন।