উত্তরার বাসায় গিয়ে শিলাস্তি সম্পর্কে যা জানা গেল

জাতীয় ঢাকা সারাদেশ
শেয়ার করুন

অনলাইন ডেস্ক : এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে টোপ হিসেবে ব্যবহার হয়েছিলেন শিলাস্তি রহমান। টাঙ্গাইলের বাসিন্দা হলেও উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন তার স্বজনরা। সেখানে শিলাস্তিও মাঝে মাঝে থাকতেন। ২২ বছর বয়সী শিলাস্তি মডেল হতে চেয়ে কয়েক বছর আগে একটি ক্লাবের পার্টিতে অংশ নিয়ে আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আকতারুজ্জামান শাহীনের নজর কাড়েন। ধনাঢ্য পরিবারের কেউ না হলেও তার চলন-বলনে সবসময় থাকতো আভিজাত্য। সরজমিন জানা গেছে, উত্তরার হাউজ বিল্ডিং’র ১৪ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডের একটি ফ্ল্যাটের দ্বিতীয় তলায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন শিলাস্তির বাবা মো. আরিফুর রহমান। তাদের সংসারের ৫ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। কথা বলতে চাইলে ফ্ল্যাটের কেউ সাড়া দেননি।

নেত্রকোনার বাসিন্দা আবু তাহের ভবনটির কেয়ারটেকার। আবু তাহের বলেন, গত ৮ বছর ধরে ৬ষ্ঠ তলার এই ভবনটিতে তিনি কেয়ারটেকারের কাজ করছেন।

শিলাস্তির বাবার সঙ্গে তার ভালো সখ্যতা রয়েছে। শিলাস্তিরা দুই বোন। তার ছোট বোন ।ইন্টারমিডিয়েটের শিক্ষার্থী। বাবা আরিফুর রহমান এক সময় প্রবাসী ছিলেন। তখন তার মা রোমানা রহমান আরিফুরকে ডিভোর্স দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করে নতুন সংসার শুরু করেন। পরবর্তীতে তার বাবা দেশে ফিরে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সেই সংসারে তাদের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।

শিলাস্তির ফুফুর দেয়া ভবনটির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্লাটে তার বাবা ও চাচা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসবাস করেন। তার বাবা বর্তমানে বেকার। তেমন কিছুই করেন না। ব্যক্তিগতভাবে তিনি ধার্মিক। কিন্তু দুই মেয়ে তাদের ইচ্ছামতো স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করছেন। শিলাস্তি এবং তার ছোট বোন প্রতি মাসেই কমবেশি বাবার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এসময় তারা ২০ মিনিট থেকে আধাঘণ্টা পর্যন্ত অবস্থান করে চলে যান। এমনিতে শিলাস্তি এবং তার বোন খুব আলাপি স্বভাবের। বাসায় আসলে বাসার কেয়ারটেকার থেকে শুরু করে সকলের সঙ্গেই কমবেশি কথাবার্তা বলেন। কলকাতার নিউটাউনে হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিন আগেও তার বাবার উত্তরার বাসায় দেখা করতে আসেন। বাসার নিরাপত্তাকর্মী আবু তাহের বলেন, যেহেতু কোনো কাজ নেই তাই প্রতিদিনই দীর্ঘ সময় ধরে তার বাবার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়। গত শনিবারও আরিফুরের সঙ্গে সকালে দেখা হলে অনেকক্ষণ কথা বলেন তারা। তবে এসময় তাকে মেয়ের ঘটনা নিয়ে খুব বেশি বিচলিত হতে দেখা যায়নি। নাম না প্রকাশের শর্তে এক বাসিন্দা বলেন, আমরা প্রথমে জানতাম না এই নামে কোনো মেয়ে কিংবা তার বাবা আমাদের ফ্ল্যাটে বসবাস করেন।

পরবর্তীতে বাসায় গোয়েন্দা পুলিশ, গণমাধ্যমকর্মীরা আসলে বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। আমরা রীতিমতো এখন লজ্জা পাচ্ছি একই ফ্ল্যাটে বসবাস করি এটা ভেবে। শিলাস্তিকে মাঝেমধ্যেই তার বাবার বাসায় আসতে দেখেছি। এ সময় তার পোশাক নিয়ে আমরা কিছুটা অবাক হতাম। তার বাবা যেখানে ধার্মিক মানুষ। সেখানে মেয়েরা এমন পোশাক পরছেন এটা ভাবা যায় না। মাঝেমধ্যেই দেখতাম প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে বাসায় আসতেন। তারা দু’বোন হোস্টেলে থাকেন বলে শুনেছি এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *