অনলাইন ডেস্ক :: ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলের হামলার ‘কঠোর নিন্দা’ জানিয়েছে কাতার। একে ‘অবিবেচনাপ্রসূত পদক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে, যা ‘ভয়াবহ পরিণতি’ ডেকে আনবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি। খবর আল জাজিরার।
দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে আল-আনসারি বলেন, ‘ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা কাজ চালিয়ে যাবো।’ তিনি বলেন, ইরান যখন ওয়াশিংটনের সঙ্গে ‘ইতিবাচক কূটনৈতিক অগ্রগতি” অর্জন করছিল, তখনই এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি জানান, এই আলোচনায় অঞ্চলটির আরও কয়েকটি দেশও সম্পৃক্ত ছিল।
তিনি বলেন, কাতার এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মধ্যস্থতায় সক্রিয় রয়েছে এবং ‘একটি চুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছা রয়েছে’ বলে বিশ্বাস করে।
এর আগে, ইরানের পারমাণবিক ইস্যু ও যুদ্ধবিরতি নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের সংঘাতে কোনো যুদ্ধবিরতি চান না, বরং ইরানের পারমাণবিক ইস্যুর ‘স্থায়ী অবসান’ চায় যুক্তরাষ্ট্র। কানাডায় জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন শেষ না করেই ওয়াশিংটন ফেরার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সিবিএস নিউজের বরাতে টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি কখনো বলিনি যে আমি যুদ্ধবিরতি চাইছি।’ তার দাবি, ‘স্থায়ী অবসান’ বলতে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন ইরানের পক্ষ থেকে পারমাণবিক অস্ত্রের চিন্তা পুরোপুরি ছাড়তে হবে।
ট্রাম্প বলেন, ইরানের সঙ্গে আলোচনার জন্য তিনি হয়তো মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ অথবা ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে পাঠাতে পারেন। তবে তিনি এও বলেন, ‘আমি দেশে ফিরলে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেব।’
ট্রাম্প দাবি করেন, ইরান ‘প্রায় পারমাণবিক অস্ত্রের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে’। যদিও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক তুলসী গাবার্ড মার্চ মাসে কংগ্রেসে সাক্ষ্য দিয়ে বলেছিলেন, ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে না।
ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ইরান যদি কোনোভাবে মার্কিন সেনাদের ক্ষতি করে, তাহলে তিনি কঠোর প্রতিশোধ নেবেন।’ তিনি জানান, ইসরায়েল ইরানে তাদের হামলা অব্যাহত রাখবে। ট্রাম্প বলেন, ‘আগামী দুই দিনের মধ্যেই সব জানতে পারবেন। এখন পর্যন্ত কেউ থামেনি।