আজ ঐতিহাসিক ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

Uncategorized
শেয়ার করুন

এ এইচ এম ফিরোজ আলী :

আজ ঐতিহাসিক ১৭মে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৯তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৮১সালের এ দিনে জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা ছয় বছর বিদেশে নির্বাসিত থাকার পর বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এদিনটি অতীব গুরুত্বপূর্র্ণ। তাঁর প্রত্যাবর্তনের মধ্যে দিয়ে রচিত হয়েছিল সম্ভাবনার নতুন এক মহাকাব্য, অন্ধকারে নিমজ্জিত বাঙালি জাতির ভাগ্যাকাশে উদয় হয়েছিল এক নতুন সূর্যোদয়। ইতিহাসবিদরা যেমন বলছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না, ঠিক তেমনিভাবে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে মর্যাদাপূর্ণ আসনে প্রতিষ্টিত হয়েছে। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার মূল্যবোধ, গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট কালরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘাতক চক্রের হাতে নির্মমভাবে স্বপরিবারে নিহত হন। ঐদিন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় তাঁরা দু’জন প্রাণে বেচেঁ যান। দীর্ঘ ছয় বছর লন্ডন-দিল্লিতে প্রতিকুল পরিবেশে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয় তাঁদের। গণমাধ্যমের তথ্য মতে ১৯৮১ সালের ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি ইডেন হোটেলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ত্রয়োদশ জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে (শেখ হাসিনাকে) দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। মঞ্চে যখন তোফায়েল আহমদ শেখ হাসিনার নাম ঘোষনা করেন, তখন দলীয় নেতা কর্মীরা আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়েন। এটা ছিল সময়পযোগী ও রাজনৈতিক দূরদর্শী সিদ্ধান্ত। শেখ হাসিনা যেদিন দেশে ফিরে আসেন, সেদিন শুধু প্রাকৃতিক দূর্যোগ, ঝড়-তুফান প্রবল বৃষ্টি ছিল না, সর্বব্যাপী ছিল সামজিক ও রাষ্ট্রীয় দূর্যোগ। সামরিক স্বৈরশাসনের অন্ধকারে নিমজ্জিত স্বদেশ শেখ হাসিনার আগমনে হয়ে ওঠে আলোকবর্তিকা। ১৫ আগষ্ট ও ৩ নভেম্বর নির্মম হত্যাকান্ডের পর আওয়ামীলীগের রাজনীতি কঠিন করে তুলেন জেনারেল জিয়া। তিনি সংবিধান স্থগিত করে রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষনা করেন। শেখ হাসিনার দেশে ফেরার আগে জিয়াউর রহমানের নির্দেশে ‘শেখ হাসিনা আগমন প্রতিরোধ, কমিটিও গঠন করা হয়েছিল,। এসময় শেখ হাসিনা ভারতের দিল্লিতে অবস্থান করছিলেন। ১৭ মে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ৭৩৭ বোয়িং বিমানে ভারতের রাজধানি দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে ঢাকা কুর্মিটোলা বিমান বন্দরে বিকাল সাড়ে ৪টায় অবতরণ করেন শেখ হাসিনা। ঘন্টায় ৬৫ মাইল বেগে ধেয়ে আসা ঝড় তোফান উপেক্ষা করে সেদিন সারা দেশ থেকে আসা হাজার হাজার মানুষ তাঁকে সম্ভর্ধনা জানাতে বিমান বন্দরে সমবেত হন। এ সময় লাখো জনতা ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম, আমরা আছি লাখো ভাই শেখ হাসিনার ভয়নাই, বঙ্গবন্ধুর রক্ত বৃথা যেতে দেবনা, আদর্শের মৃত্যু নাই, হত্যাকারি তর রেহাই নেই, মুজিব হত্যার পরিনাম বাংলা হবে ভিয়েতনাম, ইত্যাদি শ্লোগানে বিমানবন্দর এলাকার আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে।

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু যেমন পাকিস্তানের কারাগার থেকে ফিরে এসে বিমানবন্দরের মাটি ছুয়ে শিশুর মত কেঁদে ছিলেন, ঠিক তেমনিভাবে শেখ হাসিনাও বিমান থেকে নেমে মাটি ছুয়ে হাউমাউ করে কান্না শুরু করেন। এ সময়ের একটি ছবি বিশ্ব গণমাধ্যমে  আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তাঁকে মানিক মিয়া এভিনিউতে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার দুই পাশে হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে দুই হাত তুলে অভিবাদন জানায়। মঞ্চে ওঠে আবেগ আপ্লুত শেখ হাসিনা বলেন, আজকের জনসভায় লাখো চেনা মুখ দেখছি, শুধু নেই প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু, মা ভাই আরও অনেক প্রিয়জন। ছোট ভাই রাসেল আর কোন দিন ফিরে আসবেনা, আমাকে আপা বলেও ডাকবেনা। সব হারিয়ে আজ আপনারাই আমার আপনজন। আমি আওয়ামীলীগের নেতা হবার জন্য আসিনি, আপনাদের বোন, মেয়ে হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন কর্মী হয়ে আপনাদের পাশে থাকতে চাই,। বাংলাদেশ বিশ্বের দরিদ্রতম দেশ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দরিদ্র দেশে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষ খেতে পারছেনা। আর এক শ্রেণীর মানুষ প্রচুর সম্পদের মালিক হচ্ছে। ক্ষমতার গদি পাকাপোক্ত করার জন্য ওরা বাংলাকে শ্মশানে পরিণত করবে। আমি বাংলার মানুষের মুক্তি চাই। বাংলার দু:খি মানুষের মুখে হাঁসি ফোটানোর জন্য বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম করেছিলেন। বাংলার মানুষের যদি মুক্তি না আসে আমার কাছে মৃত্যুই শ্রেয়। আমি আপনাদের পাশে থেকে সংগ্রাম করে মরতে চাই। দেশে ফিরে তৃণমুল আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করে সব বৈরী পরিবেশ মোকাবেলার মাধ্যমে দেশকে স্বাধীনতার চেতনায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেন তিনি। কারন শেখ হাসিনার বড় পরিচয় তিনি জাতির জনকের কন্যা। রাজনৈতিক পরিবারে তাঁর জন্ম। ছাত্রজীবনে তাঁর কলেজে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ভাষা আন্দোলনের মিছিলে ব্যানার হাতে নিয়ে অগ্রভাগে ছিলেন। তিনি নিজেও বলেন রাজনীতি আমার রক্তে মেশানো। ১৯৮২ সাল থেকে ৯০ সাল পর্যন্ত এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। তারপর দীর্ঘ ২১ বছর পর ৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। গঙ্গার পানি চুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি চুক্তি, ভারতের সাথে ৬৮ বছরের স্থল সীমানা চুক্তি, আইনের মাধ্যমে মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমার সার্বোভৌমত্ব প্রতিষ্টা করেন শেখ হাসিনা। সংসদে ইনডেমনিটি বিল বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেন। ১৯৭০ সালের ৬ জুন আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইশতেহারে পদ্মা ও যমুনা নদীতে সেতু নির্মাণের ঘোষনা ছিল। সে কথা স্মরণ করে তিনি সকল সমালোচনা উপেক্ষা করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বে নজির সৃষ্টি করেছেন। পদ্মা সেতু এখন কল্পনা নয় বাস্তব। তাঁর হাত ধরেই শিল্প খাতে অপার সম্ভাবনার হাতছানি। ২০৩০ সালে শিল্প বিপ্লব ঘটবে এবং বদলে যাবে অর্থনীতির চেহারা। কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে ১ কোটি মানুষের। এ সম্ভাবনার পুরোটাই হচ্ছে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে ঘিরে। ভারত, চীন, জাপান, অষ্টেলিয়া, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, জার্মানী, হংকং, সৌদিআরব সহ বেশ কয়েকটি দেশ শত শত বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এসব দেশের সাথে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর হয়েছে। মিরসরাইল বঙ্গবন্ধু মুজিব শিল্প নগরে ইতিমধ্যে ২ হাজার ৮৭৪ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ এসেছে। মহেশখালি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ এসেছে ২ হাজার ৪৮৯ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ হয়েছে ২৭১ দশমিক ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মৌলভীবাজারে শ্রীহট্ট অঞ্চলে ৪৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যবস্থা হচ্ছে। ১০০ টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে ৮৮টি অঞ্চল চুড়ান্ত হয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ আকাশে প্রেরণ, পরমানু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে বিদ্যুৎ উৎপাদন, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দ স্থাপন, কর্ণফুলি চ্যানেল নির্মাণ, ডিজিটাল বাংলাদেশকে বাস্তবে রূপদান, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং স্বাধীনতার ৭০ বছরে ২০৪১ সালে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্প ঘোষনা করেন তিনি। বর্তমানে মানুষের গড় আয়ু ৭২ বছর, মাথাপিছু আয় ১হাজার ৭শ ৫২ ডলার, শতভাগ স্যানিটেশন, বিনামুল্যে বই বিতরণ, তিন গুণ খাদ্য উৎপাদন সবই শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের ফসল।

প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর ভাষায়, ‘বাংদেশের গ্রামীণ অর্থনীতি চমৎকার। ইহা আর্ন্তজাতিক বিশ্বের জন্য অনুসরণীয়-অনুকরণীয়,। নোবেল লরিয়েট অমর্ত্য সেনের ভাষায়, সামাজিক, অর্থনৈতিক সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। এমনকি সামাজিক সূচকের কোন কোন ক্ষেত্রে ভারত থেকে এগিয়ে। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটার হাউস কুপার্স বলেছে, ২০৫০ সাল পর্যন্ত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে শীর্ষ ৩টি দেশের মধ্যে একটি হবে বাংলাদেশ। ২০১৭ থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত ৩৪ বছরে ৩টি দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির গড় ৫ শতাংশের বেশি হবে। সামগ্রীক আর্থ সামাজিক উন্নতি ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরি করে জনকল্যাণ মুলক রাষ্ট্র গঠনের জন্য জাতিসংঘ সহ বিভিন্ন দেশ সংস্থা এ পর্যন্ত ৪৮টি পদক পুরস্কার ও ডিগ্রীতে ভুষিত করেছে শেখ হাসিনাকে। সিঙ্গাপুর ভিত্তিক গবেষনা প্রতিষ্টান, ‘দ্যা স্ট্যাটিস্টিকস্ ইন্টারন্যাশনাল জরিপে শেখ হাসিনাকে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে। আর্ন্তজাতিক গবেষনা প্রতিষ্টান, ‘পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স এর জরিপে বিশ্বের ১৭৩ রাষ্ট্র প্রধানের মধ্যে তৃতীয় সৎ রাষ্ট্র নায়ক নির্বাচিত হয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মর্যাদাকে ঈর্ষণীয় উচুঁতে প্রতিষ্টিত করেন। বিশ্বের প্রভাবশালি মিডিয়া ফোবর্স এর জরিপে বিশ্বের ১০০ ক্ষমতাশালি নারী নেতৃত্বের মধ্যে শেখ হাসিনা ৩০তম স্থান অধিকার করে ‘লেডি অব ঢাকা, উপাধি অর্জন করেন। প্রায় ১০ লাখের অধিক নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পরম মাতৃ¯েœহে আশ্রয় দেয়ায় বিশ্ব মিডিয়া তাঁকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি, উপাধি প্রদান করে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ চিন্তা ও ভুমিকার জন্য জাতিসংঘ তাঁকে ‘চ্যাম্পিয়ান অব দ্যা আর্থ, পুরুস্কারে ভুষিত করে। জিডিটাল বাংলাদেশ গঠন ও তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের অবদানের জন্য জাতিসংঘ ‘আইটিইউ অ্যাওয়াড, প্রদান করে। নারীর ক্ষমতা ও শিক্ষার উন্নয়নে ইউনেস্কোর পিস ট্রি পুরস্কার, ইউনেস্কোর কালচারাল ডাইভার সিটি পদক, রাষ্ট্র নায়ক ও রাজনীতিতে বিশেষ অবদানে ইন্দ্রিরা গান্ধী পদক, শিশু মৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে সাফল্যের অর্জনে জাতিসংঘের এমডিজি পদক, দেশ পরিচালনা ও রাজনৈতিক অঙ্গনে অসামান্য অবদানের জন্য ‘পার্সন অব দ্যা ইয়ার, পদক ২০০০, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এর সেরেস ‘মেডেল, পার্বত্য শান্তি চুক্তির জন্য ইউনেস্কোর ‘ফেলিক্স হোফে-বোইনি, শান্তি পদক, রাজনীতিতে সাহসিকতার জন্য ভারতের ‘নেতাজি মেমোরিয়াল, পদক সহ প্রায় ৪৮টি পদক, ডিগ্রি ও সম্মাননা অর্জন করেন শেখ হাসিনা।  

১৯৮১ সালের ৫ মে বিখ্যাত নিউজ উইক সাময়িকি এক স্বাক্ষাতকারে শেখ হাসিনাকে বলেছিলেন, স্বৈরাচারি শাসকদের বিরুধীতার মুখে আপনার দেশে ফেরা কি ঝুকিপূর্ণ হবে না? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, সাহসিকতা এবং ঝুকি দু’ই জীবনের কঠিনতম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার শর্ত। প্রকৃত পক্ষে জীবনের ঝুকি নিতে না পারলে এবং মৃত্যুকে ভয় করলে জীবন মহত্ব থেকে বঞ্চিত হয়। তিনি জানতেন দেশে ফিরে নতুন করে বঙ্গবন্ধুর প্রগতিশীল জাতীয় রাষ্ট্রে রূপ দেয়া সহজ হবেনা। তবুও তাঁকেই এ কাজের দায়িত্ব নিতে হয়েছে। কারন তিনি যে, বঙ্গবন্ধু রক্তের উত্তরাধীকার বহন করছেন।

শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর তাঁকে অন্তত ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়। দেশী-বিদেশি পর্যায়ে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে আরও ৫ বার। শেখ হাসিনার ওপর হামলার ঘটনায় ৬৬ জন দলীয় নেতা কর্মী নিহত এবং কয়েক হাজার আহত হওয়ার তথ্য গণমাধ্যমে রয়েছে। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক পথ পরিক্রমায় তাঁর সাহসি উচ্চারণের প্রতিফলন দেখেছেন বাংলাদেশের মানুষ বার বার। এত আঘাত, এত ষড়যন্ত্র, জেল-জুলুম ও বার বার প্রাণ নাশের চেষ্টা সত্বেও নির্মোহ-শঙ্কাহীন-অকুতোভয় শেখ হাসিনাকে বিন্দু পরিমাণ নড়াতে পারেনি নিজ প্রতিজ্ঞা থেকে। শেখ হাসিনা শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, একটি আশ্রয়ের নাম, বিশ্বের বিশ্বাসের প্রতীক। দৃড় প্রত্যয়ের সংগ্রামি অভিযাত্রার নাম। শেখ হাসিনা মানুষের জন্য  রাজনীতি শিখেছেন পিতার কাছ থেকে। তাই পর্বততুল্য সাহস তাঁর হৃদয়ে বিদ্যমান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার শুভাগমনে, শুভ এ দিনে আপনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা, আপনার শতায়ু কামনা করছি।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *