অবশেষে সুমেল হত্যা মামলায় সাইফুলের ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

Uncategorized
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বনাথের চাউলধনী হাওরের মুর্তিমান আতংক ডাবল মার্ডারসহ অসংখ্য মামলার আসামী বহুল আলোচিত যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল আলমের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ ১০ নভেম্বর বুধবার সিলেটের আমলগ্রহণকারী ৩য় আদালতের বিচারক হারুনুর রশীদ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার বাদী ইব্রাহিম আলী সিজিল ও তার আইনজীবি এএসএম গফুর।
গত ২৩ অক্টোবর চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা মামলায় সাইফুলকে দশ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বিশ্বনাথ থানার ওসি (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী। রিমান্ড শুনানীতে আসামী পক্ষে জেলা বারের সভাপতি এটিএম ফয়েজসহ প্রায় দশ জন আইনজীবি উপস্থিত ছিলেন। বাদী পক্ষে ছিলেন সিলেট জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবি রেজাউল করীম ও এএসএম গফুর। বাদীপক্ষের আইনজীবিরা আদালতকে জানান, সুমেল হত্যাকান্ডের সময় বন্দুক, পিস্তল সহ ৮/১০টি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এই অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা না গেলে এলাকায় আরও হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। সাইফুলের একটি লাইসেন্সকৃত বন্দুক রয়েছে। সেই বন্দুকও উদ্ধার করা যায়নি। তাই আসামীর রিমান্ড মঞ্জুর একান্ত প্রয়োজন। আসামী পক্ষের আইনজীবিরা রিমান্ডের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের দীর্ঘক্ষণ শুনানী শেষে আদালত ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চলতি বছর ২৮ জানুয়ারী চৈতননগর গ্রামের ছরকুম আলী দয়াল নিজ ভূমিতে কাজ করার সময় সাইফুল ও তার বাহিনী দয়ালকে হত্যা করে। এ ঘটনার পর এলাকাবাসী সাইফুল বাহিনীর নিকট থেকে অস্ত্র উদ্ধারের আবেদন, নিবেদন করলেও কোন কাজে আসেনি। অবশেষে গত ১লা মে স্কুলছাত্র সুমেলের বাবা-চাচার বাড়ীর জমিতে ভেকু মেশিন দিয়ে সাইফুল ও তার বাহিনীর ৩০/৩৫জন লোক জোরপূর্বক মাটি কাটা শুরু করলে জমির মালিকরা এতে বাধা দেন। এতে পরিকল্পিতভাবে জমির মালিকদের উপর সাইফুল ও তার বাহিনী মুহমুহ গুলিবর্ষণ করে। এ সময় সুমেল সহ ৫জন গুলিবিদ্ধ হয়। আহতদের ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সুমেলের মৃত্যু হয় এবং তার বাবা-চাচাসহ ৪জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। গত ২১ অক্টোবর বাদী পক্ষ ঢাকার সেগুনবাগিছার একটি ১১তলা ভবন থেকে হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী খুনি সাইফুলকে আটক করে রমনা থানায় হস্তান্তর করেছিলেন।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *