নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় নিখোঁজ হওয়া ইয়ামিন আরাফাতকে (২০) অচেনত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে তাকে কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
ইয়ামিন আরাফাত মোগলাবাজার থানাধীন শ্রীরামপুর শেখপাড়া এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। গত মঙ্গলবার রাতে মুঠোফোন বিক্রি করার জন্য কদমতলী এলাকায় যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরেনি সে। এ ঘটনায় বুধবার তার বাবা জামাল উদ্দিন মোগলাবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাঈন উদ্দিন জানান, নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর শুক্রবার সকাল আটটার দিকে কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ইয়ামিনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলওছ। সুস্থ হলে তাওব জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এদিকে, ইয়ামিনের পিতা জামাল উদ্দিন জানিয়েছিলেন, তাঁর ছেলের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বর থেকে মায়ের (জামাল উদ্দিনের স্ত্রী) মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন আসে। এ সময় অপর প্রান্ত থেকে তাঁর ছেলে জানিয়েছিলেন তাঁকে চারজন মিলে আটকে রেখেছে। তাদের হাতে বড় বড় বন্দুক। ঘরে আলো-বাতাস ঢোকে না। এক দিনে মাত্র একটি বন (রুটি) খেতে দিয়েছে। সেই সঙ্গে এক লাখা টাকা তাদের দিলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন। সর্বশেষ বুধবার রাতে তাঁর সঙ্গে ছেলের কথা হয়। এরপর ফোন বন্ধ করে রাখা হয়।
ইয়ামিন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শাহপরান (রহ.) সরকারি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে ইয়ামিন দ্বিতীয়। ইয়ামিন পড়ালেখার পাশাপাশি বাড়ির পাশে একটি কম্পিউটার কম্পোজ ও মুঠোফোনে টাকা লেনদেনের দোকান চালাতেন। এইচএসসি পরীক্ষার পর থেকে তিনি দোকানে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। সম্প্রতি তাঁর মা সালমা আক্তার অসুস্থ হলে ইয়ামিন তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোন বিক্রি করার কথা জানিয়েছিলেন