নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। শহরের বাসা বাড়ির পানি নেমে গেলেও ছড়া, খাল ভরাট থাকায় দীর্ঘ জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে। সিলেট-সুনামগঞ্জের সবকটি উপজেলার কাঁচাপাকা রাস্তার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানির তোড়ে অনেক ব্রীজ, কালভার্ট ভেসে গেছে। বন্যা কবলিত এলাকায় সর্দি, জ্বর, কাশি, ডায়রিয়া ও বসন্ত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বন্যায় ময়লা, আবর্জনা ভেসে গেলেও সবত্র দূর্গন্ধ বিরাজ করছে। বন্যা কবলিত এলাকায় সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিক ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রসহ সেবা প্রদানকারী পযাপ্ত পরিমাণ ঔষধ সরবরাহ করতে হবে। আগামী বাজেটে সিলেটের খাল,বিল, নদীনালাসহ রাস্তাঘাটের উন্নয়নে আলাদা বাজেট বরাদ্ধ করতে হবে বলে দাবী উঠেছে। সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু ত্রাণ বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে নগন্য। বানবাসি মানুষ অপরিচিত লোক দেখলেই ত্রাণের জন্য হুমড়ি খেয়ে জড়ো হয়ে যান। কেউ কেউ যতসামান্য চিড়া, মুড়ি বিতরণ করে স্যোসাল মিডিয়া ছবি ছেড়ে নিজেকে জনদরদী হিসেবে পরিচিত করছেন।
বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ও লামাকাজি ইউনিয়ন সুরমার পানির তোড়ে ধ্বংস লীলায় পরিণত করেছে। এ দুটি ইউনিয়নের রাস্তাগুলো নষ্ট হয়ে মাটির সাথে মিশে গেছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ধরনের ফাটল ধরেছে। লাখ লাখ টাকার উৎপাদিত তরি তরকারি নষ্ট হয়ে গেছে। দেওকলস, দশঘর, বিশ্বনাথ ও অলংকারি ইউনিয়নের কিছু অংশ নতুন করে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমান আরশ আলী গণির ব্যক্তিগত উদ্যোগে খাজাঞ্চী রেলওয়ে স্টেশন থেকে কামালবাজার পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের কাজ চলছে।