মহানগর যুবলীগের নতুন সভাপতি মুক্তি-মুশফিক সাধারণ সম্পাদক

Uncategorized
শেয়ার করুন

নানা জল্পনা কল্পনার পর অবশেষে সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদে আলম খান মুক্তি এবং মুশফিক জায়গীদারের উপরই আস্থা রাখলো ২৭ টি ওয়ার্ডের ৪৭৬ জন ভোটার। এর মধ্যে সভাপতি পদে বর্তমান আহ্বায়ক আলম খান মুক্তি পেয়েছেন ৩৬৮ ভোট। এছাড়া ৩৭০ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মুশফিক জায়গীদার।

এদিকে সভাপতি পদে সুবেদূর রহমান মুন্না শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে দাঁড়ালে আলম খান মুক্তির একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন শান্ত দেব। তিনি পেয়েছেন ৬৬ ভোট। এছাড়া নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীদারের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আবদুল লতিফ রিপন ৪১ ভোট এবং এম রায়হান উদ্দিন মাত্র ১৮ ভোট পেয়েছেন।

এদিকে দীর্ঘ ১৪ বছরের অপেক্ষার অবসান পর অনুষ্ঠিত হলো সিলেট মহানগর যুবলীগের সম্মেলন। শনিবার (২৭ জুলাই) বেলা ৩টায় সিলেট নগরীর রেজিস্টারি মাঠে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।

সিলেট মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মুশফিক জায়গীরদার ও সেলিম আহমদ সেলিমের সঞ্চালনায় সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সিলেট মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তি।

দীর্ঘ ১৪ বছর পর সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে ছিল উৎসবের আমেজ। সম্মেলন উপলক্ষে বেলা ১২টার পর থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকার যুবলীগ নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থল সিলেট রেজিস্টারি মাঠে প্রবেশ করেন। এসময় তাদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সম্মেলন স্থলের চারপাশ। তাদের হাতে ছিল ব্যানার, ফেস্টুন। অনেকের মাথায় ছিল রঙিন ক্যাপ। সম্মেলনকে কেন্দ্র সারা নগরীতেই শোভা পায় রঙের বর্ণিল ব্যানার ও ফেস্টুন।

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর উদ্বোধনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় কাউন্সিলের প্রথম পর্ব। এ পর্ব শেষে সন্ধ্যার পর সিলেটের রিকাবিবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে কাউন্সিলের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। ওখানে কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। রাত সোয়া ১০ টার দিকে শেষ হয় ভোটগ্রহণ। সিলেট নগরীর ২৭ টি ওয়ার্ডের যুবলীগের ৪৭৬ জন ভোটার নতুন নেতা নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

এরপর রাত ১১ টার দিকে ভোট গণনা শেষে আসে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল। এতে পুরনোতেই আস্থা রাখে সিলেট মহানগর যুবলীগ।

প্রসঙ্গত, সিলেট মহানগর যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০০৪ সালে। সম্মেলনে সৈয়দ শামীম আহমদ সভাপতি ও আবদুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সেই কমিটির মেয়াদ ফুরালে নতুন আর কোন কমিটি হয় নি। সৈয়দ শামীম ও আব্দুর রহমান আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লে ২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় যুবলীগ আলম খান মুক্তিকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি করে দেয়। এই কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় মুশফিক জায়গীরদারকে। তিন মাসের মধ্যে সম্মেলন করার নির্দেশনা থাকলেও পাঁচ বছরেও মহানগর সম্মেলন করতে পারেন নি তারা।

অবশেষে কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে শনিবার অনুষ্ঠিত হয় সিলেট মহানগর যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *