বিশ্বনাথ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ছিল বাড়ি-ঘর ছাড়া

Uncategorized
শেয়ার করুন

স্টাফ রির্পোটার : ১৯৯৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ও ৮ মার্চ বিশ্বনাথ উপজেলা সদরে আওয়ামীলীগ নিধনের বিভিষিকাময় দুই দিনের ঘটনা বিশ্বনাথেরডাক ২৪ডটকমে পৃথক শিরোনামে প্রকাশিত হওয়ায় দেশ বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এ ধরনের কলঙ্কময় নজিরবিহীন ঘটনার পর কিভাবে অনুপ্রবেশকারিদের আওয়ামীলীগের দায়িত্ব দেয়া হয় এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। অনেকেই বিষয়টি দলের হাই কমান্ডের নজরে দেয়ার চেষ্টা করছেন। কতিপয় লোক এ ঘটনা প্রকাশিত হওয়ায় তারা বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয়ারও চেষ্টা করছেন। ঘটনার পর যাদের জন্ম হয়েছে, নতুন এ প্রজন্ম ঘটনায় ধিক্কার জানাচ্ছে। দুটি লেখাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। কেউ কেউ ঘটনার বিষয়ে মামলা হয়ে থাকলে তা প্রকাশেরও অনুরোধ করেছেন। তাই দেশ বিদেশে থাকা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও পাঠকদের জানাতে দুদিনের ঘটনার দায়েরি মামলার কথা নিচে উল্লেখ করা হল।
১৯৯৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি পুড়িয়ে অবমাননা ও বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের অফিস পুড়ানো ও মালামাল লুটের ঘটনায় তৎকালীন যুবলীগ নেতা (পরবর্তীতে যুবলীগের সভাপতি) শাহজির গাঁও গ্রামের ইরশাদ আলীর পুত্র আঙ্গুর মিয়া (যুক্তরাজ্য প্রবাসি) বাদি হয়ে বিএনপির ৩৫ জনরে নাম উল্লেখ করে বিশ্বনাথ থানায় একটি এজহার দাখিল করেন। এজহারে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি পুড়ানো ও বমাননার অভিযোগ থাকায় বিশ্বনাথ থানার তৎকালীন ওসি চির জ্যোতি চাকমা ক্ষীপ্ত হয়ে এজহারটি ফেরত দেন। এজহারটি সংশোধন করে ১১ ফেব্রæয়ারি উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুর রশীদ লাল মিয়া আদালতে মামলাটি দাখিল করেন। (মামলা নং বিশ্বনাথ জিআর-৩৬/১৯৯৬)। বাদি তার এজহারে উল্লেখ করেন যে, আসামি পংকি মিছিল লক্ষ্য করে তার হাতে থাকা রিভলবার দিয়ে গুলি করেন।
এ মামলার আসামিরা হচ্ছেন, এম ইলিয়াস আলী, (রামধানা), পংকি খান, (ঝারগাঁও), মোজাদিহ আলী, (বিশ্বনাথ বাজার), আরশ আলী, (উজান মুসলা), সিরাজুল ইসলাম, (জানাইয়া), আব্দুল খালিক, (রামপাশা), আখলু উরফে আখল (জয়নগর), নুর উদ্দিন, (জানাইয়া), সুহেল, (কারিকোনা), শফিকুল ইসলাম (সদুরগাঁও), মেঘল, (ইলিমপুর), জয়নাল আবেদীন, (জানাইয়া), জুটন, (ইলিমপুর), ফরতাব আলী, (জানাইয়া), বাবুল (জানাইয়া), জলাল উদ্দিন (ভোগশাইল), আইয়ুব, (জাহারগাঁও), দুদু, (মুফতিরগাঁও), ইকবাল, (শ্বাসরার), বকুল, (রামধানা), আব্দুর রশীদ, (কামালপুর), আব্দুল মালিক, (উজান মসলা), নুরুদ্দিন (মন্ডলকাপন), ফরুক মিয়া, (উজান মসলা), ওয়াব আলী, ভোগশাইল), ইলিয়াস, (নওধার), হেকিম উদ্দিন, (রামপাশা), মহশির, (জগতপুর), বশর, (তেলিকোনা), ছানা, (বিশ্বনাথ পুরান বাজার), জুনেদ, (চাঁদশীর কাপন), মকবুল শিকদার (সদুর গাঁও), শাহাব উদ্দিন, (দক্ষিণ মীরেরচর), ফারুক, (কোনারাই), আব্দুল জলিল, (পিতা ইদ্রিস আলী) জানাইয়া। মামলাটি দন্ডবিধি আইনের ১৪৭/৩৭৯/৩৮০/৩০৭/৩২৩/৪২৭/৩২৪/৩৪ ধারা মতে দায়ের করেন।
অপ্রিয় হলে সত্য যে, বিশ্বনাথ থানার ওসি প্রকাশ্য দিবালোকে সংগঠিত ঘটনায় আওয়ামীলীগের দায়েরি মামলা গ্রহন না করলেও আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের উচিৎ শিক্ষা দেয়ার জন্য ৮ ফেব্রæয়ারি বিকাল ৪টায় বিএনপির দায়েরি সাজানো একটি মিথ্যা মামলা রেকর্ড করেন। এ মামলার বাদি হচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোজাহিদ আলী। মামলা দায়েরের পর প্রতিদিন সন্ধার পর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক থানায় হাজির হয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের তালিকা প্রদান করতেন। পুলিশ যেন তাদের গ্রেফতার করে নিয়ে আসে কিংবা আওয়ামীলীগ ত্যাগ করে বিএনপিতে যোগদান করে এমন চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। ফলে দীর্ঘদিন অনেক নেতাকর্মী ঘরবাড়ি ছাড়া ছিল। বিস্তারিত তথ্যসম্বলিত পরবর্তি সংবাদের জন্য অপেক্ষা করুন।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *