স্টাফ রিপোর্ট ার : গত ১৩ মে থেকে রোববার (১৭মে) পর্যন্ত সিলেটের বিশ্বনাথ থানা পুলিশের ৩জন এসআই, ২জন এএসআই এবং ৫জন কনস্টেবলসহ মোট ১০পুলিশ সদস্য করোনয় আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে গত ১৩ মে বিশ্বনাথে প্রথম করোনায় আক্রান্ত হন বিশ্বনাথ থানা পুলিশের দুই এসআই ও দুই এএসআইসহ চার পুলিশ কর্মকর্তা।
(১৭মে) রোববার চার পুলিশ কনস্টেবলের করোনা পজিটিভ শনাক্ত করা হয়। এর আগের দিন (১৬মে) শনিবার থানা পুলিশের এসআই অলক দাস ও আবুল কালাম নামের এক কনস্টেবলের করোনা পজিটিভ শনাক্ত করা হয়। এ পর্যন্ত বিশ্বনাথে ইউএইচওসহ সর্বমোট ১৪জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
তবে, অধিকাংশ পুলিশ সদস্যের শরীরে করোনার কোন উপসর্গ দেখা দেয়নি বলে জানিয়েছেন নিজ বাসায় আইসোলেশনে থাকা এসআই অলক দাস।
তিনি বলেন, ৫/৬দিন আগে তার শরীরে একটু জ্বর আসে। এরপর ২/৩দিন তিনি প্যরাসিটামল খান। তারপর জ্বর একেবারেই সেরে যায়। বর্তমানে তার শরীরে কোন উপসর্গ নেই। এমনকি থানা পুলিশের যে সকল সদস্য করোনায় আক্রান হয়েছেন তাদের অধিকাংশেরই কোন উপসর্গ নেই বলেও জানান গেছে।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, রোববার (১৭ মে) রাতে আরও চার পুলিশ সদস্যের করোনা শানাক্ত হওয়ার বিষয়টি তাকে জানানো হয়েছে। এর আগে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে শনিবার এসআই অলক দাস ও কালাম নামের এক কনস্টেবল আক্রান্ত হওয়ার খবর জানানো হয় তাকে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো: কামরুজ্জামান বলেন, এক এসআইসহ বিশ্বনাথের আরও ছয় পুলিশ সদস্যের করোনা পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি রোববার রাতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত বিশ্বনাথে ২১৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে গত ১৫ মে পর্যন্ত প্রায় একশ জনের রিপোর্ট তার কাছে এসে পৌঁচেছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বনাথে গত ৫ মে প্রথম এক প্রসূতি নারীর করোনা পজিটিভ শনাক্ত করা হয়। এরপর ৮ মে ১০ বছরের এক শিশু, ১০ মে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচও) ডা: আব্দুর রহমান বিশ্বাস, ১৩ মে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ও থানা পুলিশের দুই এসআই ও দুই এএসআইসহ ৫জন, ১৬ মে এক এসআই ও কনস্টেবলসহ ২জন এবং ১৭ মে কনস্টেবল ৪জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।