নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বহুল আলোচিত ও সমালোচিত সাজানো চাঁদাবাজি ও মারামারির মামলায় আরও চারজন আদালত থেকে জামিনে মুক্তিলাভ করেছেন।
৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩নং আমলী আলমগীর হোসেন এর আদালতে আসামীরা জামিন লাভ করেন। জামিনপ্রাপ্তরা হলেন, লহরী গ্রামের আবু বক্কর, লিটন মিয়া, ভাটিপাড়া গ্রামের আব্দুল গণি এবং একানারাইন গ্রামের মোঃ নুর মিয়া। আসামীরা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে শুনানী শেষে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। ইতিপূর্বে মামলার আরও ছয়জন আসামী জামিন লাভ করেছিলেন।
তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে ফাইনাল রির্পোট দাখিল করেন। রির্পোটে উল্লেখ করেন, বিশ্বনাথ দশঘর মৌজার জেএল নং-১০১, বিএস খতিয়ান নং-১৫৬৫, দাগ নং- ৪০০১ এর ভূমি নিয়ে এবং এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের হিসেবে এজাহারে বর্ণিত ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে বাদীর নিকট আসামীগণ চাঁদা দাবী ও বাদীকে মারধরের বিষয়ে কোন স্বাক্ষীপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। তপশীল বর্ণিত ভূমি বর্তমানে কচুরিপনায় পরিপূর্ণ এবং উক্ত জায়গায় মৎস্য খামারের কোন উপাদান পরিলক্ষিত হয়নি। পূর্ব বিরোধের জের ধরে আসামীগণকে সায়েস্তা করার হীন উদ্দেশ্যে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে অত্র মামলা দায়ের করা হয়েছে মর্মে তদন্তে প্রকাশ পায়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর দশঘর ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের তোতা মিয়া সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বিশ্বনাথ আদালতে ১০জন আসামীর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করলে আদালত তিন কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্বনাথ থানার ওসিকে নিদের্শ প্রদান করলে ৩ অক্টোবর বিশ্বনাথ থানা পুলিশ মামলাটি রের্কড করেন।