নিজস্ব প্রতিবেদক:: বিশ্বনাথ উপজেলার কৃতিসন্তান, একুশে পদকপ্রাপ্ত শব্দসৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. অরূপ রতন চৌধুরী বলেছেন, মাটি মানুষ ও নাড়ীর টানে প্রিয় জন্মভূমি বিশ্বনাথে এসেছি। জীবনের শেষ মুহুর্তে এই অঞ্চলের মানুষের সাথে মিশে গিয়ে মানবতার কাজ করতে চাই। জীবনের শেষ বয়সে এলাকাবাসীকে কিছু দিতে চাই। আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই, ১৮ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে শরিক হয়েছি, এটাই আমার জীবনের শ্রেষ্ট অর্জন। বাকী জীবন আপনাদের মধ্যে বিলিয়ে দিতে চাই। তিনি সিলেট অঞ্চলে এখন উন্নয়নে অবহেলিত বিষয়টি জেনে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বিশ্বনাথে গ্যাস এখনও সংযোগ দেয়া হয়নি, এ কারনে আমি বিস্মিত হয়েছি। ঢাকায় ফিরে গিয়ে উর্ধ্বতন মহলে আলোচনা করে বিভিন্ন উন্নয়নসহ গ্যাস সংযোগের ব্যাপারে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাব।
২৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে ২নং খাজাঞ্চী ইউনিয়নের প্রীতিগঞ্জ বাজারে উত্তর বিশ্বনাথ মানস কর্তৃক আয়োজিত মাদক বিরোধী আলোচনা সভা ও তাঁকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সৎপুর কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ শফিকুর রহমানো সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মাদক বিরোধী প্রধান আলোচকের বক্তব্যে সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, কলামিষ্ট এএইচএম ফিরোজ আলী বলেন, সর্বগ্রসি মাদক একটা রাষ্ট্র বা জাতীর ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে। তাই এদেশের তরুন প্রজন্মকে মাদকমুক্ত রাখতে অভিভাবক সহ সমাজের সচেতনমহলকে প্রতিটি অঞ্চলে সর্তক দৃষ্টি রাখতে হবে। মাদক বিরোধী আলোচনায় অংশ নেন এডভোকেট আনোয়ার হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা অরবিন্দু দাস।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি তাপস পুরকায়স্ত, উত্তর বিশ্বনাথ দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মুহিবুর রহমান কিরণ, এডভোকেট কল্যাণ চৌধুরী, লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া, রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আলমগীর হোসেন, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শংকর চন্দ্র ধর। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন রাইসুল ইসলাম ও গীতা পাঠ করেন দেবব্রত চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করেন এডভোকেট কল্যাণ চৌধুরী তন্ময়া শিক্ষানবিশ আইনজীবি মোহনা চৌধুরী মীম, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ক্বারী জমির উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার কয়েক শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, ড. অরূপ রতন চৌধুরী বিশ্বনাথ উপজেলার ১নং লামাকাজী ইউনিয়নের আকিলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন প্রাক্তন শিক্ষক শৈলেন্দ্র কুমার চৌধুরী, মাতা সিলেট অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা, রূপসী বাংলা গদ্যের লেখক ও প্রাথমিক পাঠ্যপুস্তক প্রণেতা ড. মঞ্জুশ্রী চৌধুরী। এলাকাবাসী ড. অরূপ রতন চৌধুরীকে পেয়ে আনন্দিত ও গর্বিত।