বিশ্বনাথে রবিউল হত্যাকারিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

Uncategorized
শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটের বিশ্বনাথে মাদরাসা ছাত্র রবিউল হত্যাকারিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করা হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলার গোয়হরি আল-ইরশাদ লতিফিয়া দাখিল মাদরাসা প্রাঙ্গন থেকে শুরু করে বৈরাগী বাজারে এসে এক মানববন্ধনে মিলিত হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, শিশু রবিউলকে খুনিরা ণির্মমভাবে হত্যার করে তার লাশ পানিতে ফেলে রাখে। এ ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনও আসামিদের গ্রেফতার করেনি। গত শুক্রবার বিকেলে সিলেটের পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশকে কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, এক রাতের মধ্যে যেন আসামি গ্রেফতার হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত আসামি গ্রেফতারে পুলিশের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। বক্তারা পুলিশ বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এখনও সময় আছে, আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে এদের ফাঁসি কার্যকর করুন। অন্যতায় কঠোর কর্মসুচীর ডাক দেয়া হবে। গরুর পা কাটার স্বাক্ষী দেওয়ায় শিশু রবিউলের পুরুষাঙ্গ কেটে, চোখ দুটি নষ্ট করে, গাড় ভেঙ্গে, শরীরের একাধিক স্থানে সিগারেটের ছেকা দিয়ে হত্যা করা আধিযুগের সেই বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। এ নির্মম হত্যাকান্ডকে ধামাচাপা দিতে এক শ্রেণীর বখাটেরা কাজ করে যাচ্ছে। আমরা তাদের বলতে চাই রবিউল হত্যাকারিদের বিচার এই বাংলার মাটিতে হবেই হবে। এ ঘটনায় তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষন করছেন।

ইরশাদিয়া লতিফিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা ইসহাক হোসাইন এর সভাপতিত্বে ও রামপাশা ইউনিয়ন তালামিযের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মিসবাউল হকের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক মেম্বার আনিসুজ্জামান, আব্দুল ওয়াহিদ, বৈরাগী বাজার বণিক কল্যান সমিতির সাবেক সভাপতি মনোহর আলী, যুবলীগ নেতা আবুল কাহার, শ্রমিক নেতা কামাল আহমদ, জাপা নেতা ফিরোজ আলী, সাতপাড়া মাদরাসার ছাত্র রেজা আহমদ, ইরশাদিয়া দাখিল মাদরাসার প্রাক্তন ছাত্র আব্দুস সালাম জুনেদ, সালমান আহমদসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশা ব্যক্তিবর্গ।
প্রসঙ্গ, গত ১২ অক্টোবর সোমবার সকালে নিখোজ হয় সামিউল নিখোজের একদিন পর ১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে রামপাশা বৈরাগী বাজার সড়কের বাল্লার ব্রীজের পাশের ডোবা থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সামিউল উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রহমান নগর গামের আকবর আলীর পুত্র। এ ঘটনায় সামিউলের মামা বাদি হয়ে ৭ জনকে আসামি করে বিশ্বনাথ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দিন পুলিশ আসামি আব্দুল কাদিরের স্ত্রী মাজেদা বেগমকে গ্রেফতার করেছে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *