বিশ্বনাথে যতিন্দ্র হত্যার ঘটনাস্থলে পিবিআই : দু’জন আটক

Uncategorized
শেয়ার করুন

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের চাঞ্চল্যকর চতিন্দ্র কুমার দাস হত্যা মামলার রহস্য এখনও উদঘাটন হয়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য টেংরা গ্রামের কাশেম ও রাজা নামের ২ ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বাদি পক্ষ জানিয়েছেন, হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ প্রশাসন তৎপর রয়েছে। শনিবার দুপুরে সিলেট পিবিআইর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরওয়ার জাহান, ওসি শহীদুল ইসলাম এবং ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম ও বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসার নেতৃত্বে দুইটি টিম যৌথভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছে। আত্নীয়সজন সহ ঘটনার পারিপাশ্বিক অবস্থা তারা পর্যবেক্ষণ করেন।
গত ৮ মার্চ রাতে একটি মোবাইল ফোনের কল পেয়ে যতিন্দ্র দাস তার বাড়ির পাশে বসিয়া নদীর তীরে যান। সেখান থেকে তিনি নিখোঁজ হন। (১২ মার্চ) বৃহস্পতিবার পুলিশ নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। লাশের সাথে হাতে ও পায়ে বাঁধা দুইটি ভারি বস্তা এবং গলায় পেছানো একটি মাফলার পাওয়া যায়। ধারনা করা হচ্ছে যতিন্দ্রকে শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যার পর লাশটি যাহাতে নদী থেকে ভেসে না উঠে সেজন্য বস্তায় ইট বালু পাথর ভরে নদীতে ফেলে দেয়। যতিন্দ্রের সাথে সরাসরি কারো শত্রুতা না থাকলেও টাকা পয়সার লেনদেন নিয়ে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
এ ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন গ্রামের হিন্দু মুসলমানরা যতিন্দ্র দাসের বাড়িতে এসে তার আত্নীয় স্বজনকে শান্তনা দিচ্ছেন। শনিবার সরেজমিনে যতিন্দ্র দাসের বাড়িতে গিয়ে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ও পিবিআইর একটি টিমকে তদন্ত করতে দেখা যায়। এসময় বাড়িতে আগত অনেক লোক শোকাহত পরিবারকে শান্তনা দিচ্ছেন। সবাই বলছেন যতিন্দ্র দাস একজন সামাজিক ও এলাকার জনপ্রিয় মানুষ ছিলেন। যে কোন লোকের আপদে বিপদে তিনি এগিয়ে আসতেন এবং সাহায্য সহযোগিতা করতেন। এজন্য তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এদিকে টেংরা গ্রামের সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য সিতার মিয়া হত্যার রহস্য উদঘাটনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে আবেদন করেছেন।
এ ব্যাপারে ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *