স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের বিশ্বনাথে করোনাভাইরাসে এক প্রসুতি মহিলা আক্রান্ত হয়েছেন। ২৫ বছর বয়সী ওই প্রসূতি উপজেলার রামাপাশা ইউনিয়নের ঘোরাইল গ্রামের বাসিন্দা।
মঙ্গলবার বিকেলে ওই নারীর নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ এসেছে বলে উপজেলা প্রশাসনকে জানান সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এই খবর পাওয়ার পর মঙ্গলবার (৫ মে) বিকেল ৫টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো: কামরুজ্জামান ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে তাকে আইসোলেশনে রাখেন। এসময় প্রসূতি ওই নারীর বাড়িসহ ৪টি বাড়ি লকডাউন করে আসেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডা: আব্দুর রহমান মুসা, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মুসা ও রামপাশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো: কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, বর্তমানে ওই নারীর কোন করোনা উপসর্গ নেই। তবে, তাকে গত ৩দিন ধরে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। কারণ হিসেবে তিনি জানান, সপ্তাহ খানেক আগে ওই নারী প্রসব ব্যাথা নিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে সিজারে সন্তান প্রসবের পর তিনি হ্যাঁচি-কাশি দিলে সন্দেহ জাগে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের। ফলে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর ওই নারীকে ওসামনী থেকে করোনা চিকিৎসার জন্যে শামসুদ্দিন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু ওই নারী শামসুদ্দিন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে আসেন।
বিষয়টি ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত ২ মে শনিবার সকালে থাকে (ইউএনও) জানালে তিনি ওই নারীকে খাবার দিয়ে তার বাড়িতেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখেন। এর তিনদিনের মাথায় মঙ্গলবার ওই নারীর নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ আসলে তিনি ওই নারীর বাড়িসহ আরও ৩টি বাড়ি লকডাউন করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডা: আব্দুর রহমান মুসা বলেন, করোনা আক্রান্ত ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ তারা করেন নি। তিনি জানান, এ পর্যন্ত এ উপজেলায় ৩৪জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ২৯জনের ফালাল নেগেটিভ এসেছে। আর বাকি ৫জনের ফলাফল এখনও আসেনি।