নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বনাথে উপজেলার অলংকারি ইউনিয়নের পিটাকরা গ্রামের উগ্র জামাত শিবিরের ৭ জনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি করার অভিযোগে একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। (ডায়েরী নং-২৯, তারিখ ০১/০১/২০২১ইং)। অভিযোগকারি হচ্ছেন, পিঠাকরা গ্রামের গ্রামের মৃত সিকান্দর আলীর পুত্র মাওলানা ইলিয়াছ আল-হুমাইদি। অভিযুক্তরা হচ্ছেন, একই গ্রামের আব্দুন নুরের পুত্র ইমরান আহমদ (২০), আব্দুল আলী (২৯), ময়নুল ইসলাম (৫২), আব্দুস সালাম (৪৪), ইসলাম উদ্দিন (৩৯) মাহমদ আলী (৩৩), আনসার আলী (৪০)। অভিযোগটি দায়েরের পর বিশ^নাথ থানা পুলিশ বিষয়টিকে সাধারণ ডায়েরী করে তদন্তের জন্য আদালতে অনুমতি প্রার্থনা করেন। সিনিয়ন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্র্যাট ৩নং আমলি আদালতের বিচারক ৬ জানুয়ারি তদন্তের অনুমতি প্রদান করেন। আবেদনটি আদালতে দাখিল করেছিলেন এএসআই হোসাইন আহমেদ।
গত ২৬ ডিসেম্বর পিটাকরা গ্রামের আলকাছ আলীর কন্যা কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী ইমরানা বেগম এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্তদের নিজের মোবাইলের ফেসবুক আইডিতে প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি করার প্রিন্ট কপিসহ প্রমানাদি দেখিয়ে অতিসত্তর গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। পর দিন সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সরেজমিনে এ বিষয়ে তদন্ত করে কটুক্তির প্রিন্ট করা কপিও সংগ্রহ করেন। অভিযুক্ত ৭ জন জামাত শিবিরের উগ্র রাজনীতির সাথে জড়িত। তারা মানবতা বিরুধী অপরাধের সাথে জড়িত আজীবন দন্ডাদেশ প্রাপ্ত দিলোয়ার হোসেন সাঈদীর মুক্তি দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অশালিন ভাষায় ফেসবুকে কটুক্তি করেন। এক সময়ের মহাজোট নেতা ও ফুলতলী মসলকের জমিয়তুল মোদারেসিন মৌলভীবাজার জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মাওলানা ইলিয়াস হুমাইদি কটুক্তিকারিদের একজন নিকটাতীয়দের ডেকে এনে প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি না করার অনুরোধ করেন। এতে উগ্র সন্ত্রাসীরা মোবাইলে তাকে হত্যার হুমকি দেয়ার প্রমানাদিও সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব দেখানো হয়। রাষ্ট্রপ্রধানকে কঠুক্তি করার পরও এ পর্যন্ত একজন অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়নি। বরং অভিযোগকারির পরিবারকে এক ঘরে করে রাখা হয়েছে। তাদের পুরুষ কেউ বাড়ি ঘরে থাকতে পারছেনা এবং মহিলারা আতংকে দিন যাপন করছেন।
এব্যাপারে ওসি শামীম মূসা জানান, আসামী এখনও সনাক্ত করা যায়নি। তদন্ত চলছে।