স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের বিশ্বনাথে বাড়ির চলাচলের রাস্তা নিয়ে প্রতিবন্ধীদের উপর হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় শারীরিক প্রতিবন্ধী আব্দুস সত্তারসহ ৪জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রতিবন্ধী আব্দুস সত্তারকে (৪৫) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় শুক্রবার রাত ৯টায় ওই হাসাপাতলের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে থানা পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে ৫জনকে আটক করেছে। (১৭জুলাই) শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী আব্দুস সত্তার পক্ষের উপর হামলা করেন তারই চাচাতোভাই আখতার মিয়া (৩৭) পক্ষ। এ ঘটনায় আহত অপর তিনজনের মধ্যে রয়েছেন প্রতিবন্ধী আব্দুস সত্তারের ছোটভাই শারীরিক প্রতিবন্ধী নেছার মিয়া (৩৫), ও লিটন মিয়া (৩০) এবং মধ্যস্ততাকারী একই গ্রামের হয়াজ মিয়া (৩৮)।
অন্যদিকে হামলার খবর পেয়ে থানা পুলিশের এসআই দেবাশীষ শর্ম্মাসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বন্ধ করা রাস্তা খোলে দেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৫জনকে জিাজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন। এরা হলেন, হামলাকারী আখতার মিয়া (৩৭) তার স্ত্রী সেলি বেগম (৩৫), তার বোনজামাই রুবেল মিয়া (২৬), চাচা-শ্ব্শুড় রফিক মিয়া (৪২) ও তার ছেলে সাকিল মিয়া (১৭)।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, পৈর্তৃক সম্পত্তি ও বাড়ির রাস্তা নিয়ে মনোহরপুর গ্রামের মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে আব্দুস সত্তার ও মৃত ইর্শ্বাদ আলীর ছেলে আখতার মিয়ার মধ্যে দীর্ঘ দিনের বিরোধ রয়েছে। সম্প্রতি বাড়ির মধ্যখানে দেওয়াল নির্মাণ করে প্রতিবন্ধী চাচাতো ভাইদের উঠান দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেন আখতার। এরপর বাড়ির রাস্তায় বাশের বেড়া দিয়ে চলাচল একেবারে বন্ধ করে দেন আখতার। আর রাস্তা বন্ধ করায় অন্য পথে শুক্রবার গ্রামের মসজিদে নামাজ পড়তে যান আব্দুস সত্তার। নামাজ শেষে উপস্থিত পঞ্চায়েতকে এ বিষয়টি জানান তিনি। আর পঞ্চায়েতকে জানানোর কারণে ওইদিন বিকেলে আব্দুস সত্তার পক্ষের উপর হামলা করেন আখতার পক্ষ।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা ৫জনের মধ্যে আখতার ও তার স্ত্রী ছাড়া ঘটনার সঙ্গে বাকি তিনজের কোন সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। মামলা দেওয়া হলে পরবর্তি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।