বিশ্বনাথে পুলিশের সহায়তায় সাজানো মামলায় এলাকায় উত্তেজনাঃ তদন্তের আশ্বাস

Uncategorized
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিশ্বনাথ থানার পালেরচক গ্রামের স্কুল শিক্ষক লায়েক মিয়া ও তার ভাই সেজু মিয়া সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি সাজানো মামলা দায়েরের ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এই সাজানো মামলার ঘটনায় বিশ্বনাথ থানার এসআই মামুনুর রশিদকে দায়ী করে সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে ৬ জুলাই একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সুপার অভিযোগকারীদের বক্তব্য শুনে নিরপক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পালেরচক গ্রামের মাহবুব হোসেন ও নুর আলম।
গত ০১/০৪/২০২২ইং তারিখে দন্ড বিধি আইনের ৩৫৪/৩০৭/৩২৫/৩২৪/৩২৩/৪৪৮/৪২৭/১৪৩/৩৭৯/৫০৬ মামলাটি দায়ের করেছেন, পালেরচক গ্রামের মৃত সাইদুর রহমানের স্ত্রী আছিয়া বেগম। অভিযোগে জানা যায়, গত ২৯ই মার্চ বিশ্বনাথ থানার এসআই পালেরচক গ্রামের স্কুল শিক্ষক লায়েক মিয়া ও সেজু মিয়ার বাড়িতে আছিয়া বেগমের গাছ কাটার একটি অভিযোগ তদন্তে যান। লোকজনের উপস্থিতে তদন্তকারী দারোগা গাছ কাটার কোন প্রমান পাননি। ৩১ মার্চ আছিয়া বেগমের কাজের মেয়ে রুনা বেগমকে মারপিট করে গুরতর জখম শ্লীলতাহানি সহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে উপরোক্ত মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের আগে রুনা বেগমকে মাথায় হাতে ব্যান্ডিস দিয়ে ছবি তোলা হয়। ঘটনার দিন বাদী ও বিবাদীদের মধ্যে কোন কথা কাটাকাটিও হয়নি। অথচ এই সাজানো মামলাটি রেকর্ড করার পর এস আই মামুনুর রশিদ ১লা এপ্রিল রাতে স্কুল শিক্ষক লায়েক ও সেজুকে গ্রেফতারের জন্য রাত আড়াইটার সময় তাদের বাড়িঘরে তল্লাশি শুরু করেন। এ সময় মহিলা শিশুরা আতংকিত হয়ে কান্নাকাটি শুরু করলে তিনি আসামী গ্রেফতার না করে থানায় ফিরে যান। এই সাজানো মামলার খবর পেয়ে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন। তারা সাজানো ও মিথ্যা মামলা থেকে আসামীদের অব্যাহতি এস আই মামুনুর রশিদ ও বাদীনীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।
বলা আবশ্যক যে, মৃত সাইদুর রহমানে স্ত্রী আছিয়া বেগম সিলেট শহরে বসবাস করেন এবং এই মামলার ১ নং স্বাক্ষী রুনা বেগম তার ঘরের কাজের মেয়ে। রুনা বেগমের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার নিজামপুর গ্রামে। যুক্তরাজ্য প্রবাসী এহিয়া মিয়া লায়েক ও সেজুর চাচাত ভাই হয়। বাড়ি জমির বিরুধ নিয়ে এহিয়া মিয়া তার ঘরের কাজের মেয়ে রুনাকে দিয়ে বিভিন্ন সময়ে চাচাত ভাইদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাজানো ও অসম্মানজনক একাধিক মামলা দায়ের করেছেন। এ নিয়ে আত্বীয়-স্বজন গ্রামবাসী বিচার বৈঠকের উদ্যোগ নিলে এহিয়া ও তার পক্ষের লোকজন বারবার অমান্য করেন। স্থানীয় লোকজনের অভিযোহ এহিয়ার এহেন কর্মকান্ডে তাদের বংশের মান সম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। এসআই মামুনুর রশিদ রামপাশা ইউনিয়নের কমিউনিটি পুলিশের দায়িত্বে থাকার সুযোগে লন্ডনী এই পরিবারের সাথে সর্ম্পক গড়ে তুলে প্রতিপক্ষকে হয়রানি করছেন বলে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন। বিশ্বনাথ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান বলেন, যেকোন ঘটনায় থানায় মামলা হতেই পারে। তবে এ মামলা সুষ্টু তদন্ত করে ব্যবস্তা নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *