ডেক্স রিপোর্ট : সিলেটের বিশ্বনাথে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে অভিযুক্ত এক যুবক আদালত থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করেছে। তার নাম আবুল কাহার। সে বিশ্বনাথ উপজেলার চৌধুরী গাঁও গ্রামের মৃত মরম আলীর পুত্র। ২০১৯ সালের ২৬ জুন উপজেলার মুফতির গাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রী ঘরের পার্শবতী স্থানে ধর্ষিত হয়। ঘটনার পর তার মাতা আম্বিয়া বেগম বাদি হয়ে বিশ্বনাথ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন, (জিআর মামলা নং-১২৯)।
ঘটনার ৫দিন পর র্যাব অভিযুক্ত আবুল কাহারকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় এলাকায় দারুণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর থেকেই কাহারের স্বজন ঘটনাটি সাজানো এবং ষড়যন্ত্রমুলকভাবে কাহারকে আসামি করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় ঘটনার প্রেক্ষিতে কেউ তা বিশ্বাস করতে পারেনি। কিন্তু থানা পুলিশও তাতে কোন কর্ণপাত করেনি। গ্রেফতারকৃত কাহার প্রায় সাড়ে ৭ মাস হাজত বাসের পর গত ১২ ফেব্রুয়ারি আদালত থেকে জামিনে মুক্তিলাভ করে। এতথ্যটি নিশ্চিত করেন আসামি পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট শাহ মোসাহিদ আলী। তিনি বলেন, কাহার শুধু জামিন পেয়েছে পুলিশের দেয়া ফাইনাল রিপোর্ট আদালত এখনও গ্রহন করেনি।
গত ২৯ জানুয়ারি ২০২০ইং তারিখে এ চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই রত্না বেগম আদালতে দাখিলকৃত প্রতিবেদনে ঘটনাটি সত্য বললেও আসামী আব্দুল কাহারের সাথে ভিকটিমের ডিএনএ পরিক্ষায় কোন মিল না থাকায় আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করেন। এসআই রত্না বেগম বিশ্বনাথের ডাক ২৪ ডটকমকে জানান, মেয়েটিকে ধর্ষন করা হয়েছে সত্য, তার মা’সহ স্বাক্ষীগণকে অনেকভাবে প্রকৃত ধর্ষকের নাম উদঘাটনে চেষ্টা করেছি। কিন্তু ডিএনএ পরিক্ষায় কারনে মামলাটির চুড়ান্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল করতে হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ধর্ষিত মেয়েটির প্রকৃত ধর্ষক কে? তা অবশ্যই খুজে বের করতে হবে।