দুই নেতার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের তদন্ত করছে বিশ্বনাথ আওয়ামীলীগ !

Uncategorized
শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার: রাজনীতিতে অনেক নাটকীয় ঘটনা ঘটলেও বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের একটি তদন্তের ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ এই ঘটনাকে চরম অজ্ঞতা বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এ ধরনের তদন্তের ঘটনা রাজনীতির ইতিহাসে এখনও কেউ দেখেনি। আর এই ঘটনার সূত্রপাত করেছেন, বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম। তিনি গত ৩ নভেম্বর বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মোঃ আবুল কালাম ও দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আরিফ উল্লাহ সিতাবের নিকট রেজিষ্ট্রার্ড ডাকযোগে পৃথক পৃথকভাবে দুটি কারন দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করেন। নোটিশে তিনি মোঃ আবুল কালাম ও মোঃ আরিফ উল্লাহ সিতাব কে জানান, ‘আপনার বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনিবার্হী কমিটির সভার আলোচনা ও সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলীয় শৃঙ্খলা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮’ এর বিধান লঙ্গন করে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও দায়িত্বশীল আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৩(১)/৩১(১)/৩৫(১) ধারার অভিযোগ তদন্তের জন্য আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারীকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে উক্ত নোটিশ (অবগতিপত্র)প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে আমার নিকট আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত আকারে বক্তব্য প্রদানের জন্য আপনাকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হইল”।
বিভিন্ন ভাবে ঘটনা জানার পর নোটিশ প্রাপ্ত উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মোঃ আবুল কালাম নোটিশ প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, রাজনীতির দীর্ঘ এই বয়সে এ ধরনের হাস্যকর নোটিশ দেখিনি। আবুল কালাম জানান, আমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোন মামলা নেই। অথচ নোটিশে ধারা উল্লেখপূর্বক কারণ দশানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। যা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্রের কোথাও এ ধরনের তদন্তের কথা উল্লেখ নেই। তিনি নোটিশের জবাব লিখিতভাবে দেবেন বলে জানান।
দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আরিফ উল্লাহ সিতাব বলেন, আমি কোথাও কোন দিন কারও বিরুদ্ধে টু-শব্দ পর্যন্ত করিনি। অথচ আমার নামে নোটিশ দেয়া হয়েছে। আমি দলের নেতাদের সাথে কথা বলে নোটিশের জবাব দেব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরি কমিটির একাধিক নেতা জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংগঠনিকভাবে তদন্তের কোন সুযোগ নেই। কেউ নোটিশ করে থাকলে, তার অজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন।
বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ফারুক আহমদ বলেন, কার্যকরি কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সভায় তদন্ত কমিটির রির্পোট দাখিল করবে।
সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এটিএম ফয়েজ উদ্দিন বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা বা কোন ফৌজদারী আইনের কোন ধারা রাজনৈতিক কোন সংগঠন তদন্ত করার এখতিয়ার আছে বলে আমার জানা নেই।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন এর নিকট জানতে চাওয়া হয়েছিল, আওয়ামীলীগের কোন শাখা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অভিযোগ তদন্ত করতে পারে কিনা ? এমন প্রশ্ন শুনে তিনি পরে কথা হবে বলে লাইন কেটে দেন।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *