নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বনাথ উপজেলার চৈতননগর গ্রামের স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা মামলায় ১৯ আসামীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর পৃথক পৃথক ভাবে সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বজলুর রশীদ দীর্ঘ শুনানী শেষে আসামীদের জামিন নামঞ্জুর করেন। সুমেল হত্যা মামলার আসামী সাইফুল আলম, নজরুল আলম, সদরুল আলম, আছকির আলী, আব্দুল জলিল ও শাহিন ফৌজদারী বিবিধ মামলা ২১৫০/২০২১ইং গত মঙ্গলবার আদালতে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানী শেষে ৭জন আসামীর মধ্যে শুধুমাত্র শাহিনের জামিন মঞ্জুর এবং ৬জনের জামিন নামঞ্জুর করেন। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) ফৌজদারী বিবিধ মিস ২১৩৫/২০২১ইং মামলায় আসামী ওয়াহিদ, রকিব, আঙ্গুর আলী, লুৎফুর রহমান, ময়ুর, দেলোয়ার হোসেন, আকবর আলী, আজাদ আলী, কাওছার, দিলাফর আলী, ফরিদ উদ্দিন, মামুনুর রশীদ এই ১৩জন জামিন শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ সময় বাদী পক্ষের আইনজীবি ও আসামী পক্ষের আইনজীবিদের মধ্যে আইনী লড়াই শেষে আদালত সকল আসামীর জামিন নামঞ্জুর করেন। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী ইব্রাহিম আলী সিজিল। ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর শুনানীতে বাদী পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবি রেজাউল করীম, এএসএম গফুর ও সামিউল আলম এবং আসামী পক্ষে আইনজীবি ছিলেন এমাদ উল্লাহ শাহিন ও সোহেল চৌধুরী।
আসামী শাহিন, জামাল, পারভেজ, আনোয়ার, ইলিয়াছ, আব্দুন নূর, জয়নাল, আশিক মিয়া। এ ৮জন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, গত ১লা মে চৈতননগর গ্রামের নজির মিয়া ও মনির মিয়ার নিজস্ব ভূমিতে আসামীগণ জোরপূর্বক ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটার এক পর্যায়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও মামলার প্রধান আসামী সাইফুলের নেতৃত্বে বন্দুক, পিস্তল সহ দেশীয় অস্ত্র, সস্ত্র দিয়ে আক্রমন করলে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্কুলছাত্র সুমেল নিহত হয় এবং তার বাবা চাচাসহ চার জন গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় সুমেলের চাচা ইব্রাহিম আলী সিজিল বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর মামলার প্রধান আসামী সাইফুলকে বাদী পক্ষ সেগুন বাগিছার একটি এলাকা থেকে আটক করে রমনা থানা পুলিশে হস্তান্তর করেন। সুমেল হত্যা মামলাটি দেশ-বিদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন এবং আসামীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে জেলা ও উপজেলায় একাধিকবার মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।